কৃত্রিম মেধা যতই কাজ শুরু করুক, মানব-মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী শক্তি তার মধ্যে থাকার কথা নয়। তাই নিরন্তর নিজের বুদ্ধির গোড়ায় সার, জল দিয়ে যায় মানুষ। যেকোনও পরিসরে বৌদ্ধিক অগ্রগতি না থাকলে কাজ করা সম্ভব নয়।
কর্পোরেট সংস্থাগুলি তার কর্মীদের থেকে নিরন্তর ভাবনা, পরিকল্পনা দাবি করে। সব কিছুই হতে হবে একেবারে মৌলিক। এ-ও এক প্রতিযোগিতা। সেক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে ‘মাইন্ড ম্যাপিং’।
এই বিশেষ প্রযুক্তি কর্মক্ষেত্রে যেমন কাজে লাগতে পারে, তেমনই কাজে লাগানো যেতে পারে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এমনকী ব্যক্তিগত জীবনেও। ব্যক্তির স্বকীয় এবং মৌলিক ভাবনাচিন্তার ক্ষেত্রে এর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। আবার শিক্ষা গ্রহণের ক্ষমতা বা যেকোনও কাজ গুছিয়ে করার ক্ষেত্রেও সহায়ক হতে পারে ‘মাইন্ড ম্যাপিং’।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে MindMeister অনলাইন মাইন্ড ম্যাপিং অ্যাপটি। নতুন নতুন পরিকল্পনা তৈরি করা হোক বা তা গুছিয়ে সম্পাদন করার ক্ষমতা, সব কিছুতেই সাহায্য করতে পারে এই অ্যাপ। এমনকী সহকর্মী, বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদেরও এর সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়া যেতে পারে। এটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে প্রিমিয়াম ভার্সনও রয়েছে।
কীভাবে ব্যবহার করা যাবে, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
১. প্রথমে অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
২. তারপর MindMeister ড্যাশবোর্ডে যাওয়া যাবে।
৩. সেখানে একাধিক গ্রিড দেখা যাবে।
৪. ড্যাশবোর্ডের বাঁ দিকে + চিহ্ন দেখা যাবে, সেখান থেকেই শুরু করতে হবে।
৫. তাহলেই ম্যাপ এডিটরে পৌঁছে যাওয়া যাবে। সেখানে নতুন নতুন বিষয় যুক্ত করা যাবে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে Tab এবং Enter কি-দু’টি।
৬. এই ম্যাপ নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
৭. একবার এই ম্যাপ তৈরি হয়ে গেলে অন্যের সঙ্গে তা শেয়ার করা যাবে। তাঁরাও তা ‘এডিট’ করতে পারবেন।
অন্যের সঙ্গে এই অ্যাপ শেয়ার করতে গেলে,
প্রথমে ম্যাপ এডিটরের ডান দিকে Invite অপশনে যেতে হবে। তাহলেই একটি পপ-আপ হবে, সেখানে বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের ই-মেল আইডি লিখে তাদের অ্যাকসেস দেওয়া যেতে পারে। মেসেজ বক্সে ছোট ছোট বার্তাও পাঠানো যেতে পারে। নতুন সদস্যদের জন্য ‘Pencil’ অপশনও আছে, এতে তাঁরা এডিট করতে পারবেন।