কলকাতাঃ দৃষ্টি বিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশন হল চোখের ধাঁধা। হামেশাই নানা রকম অপটিক্যাল ইলিউশন ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবির মধ্যে থেকে খুঁজে বার করতে হয় নানা রকম অবয়ব, অক্ষর ইত্যাদি। আর অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধানের মাধ্যমে নিজের মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা পরীক্ষা করে নেওয়া যায়। অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধায় বিভিন্ন কোণ অথবা বিভিন্ন আকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এগুলি খুঁজে বার করতে পারলে বা সমাধান করতে পারলেই বোঝা যায় যে, মানুষটির বুদ্ধির জোর এবং আইকিউ কতটা! এখানেই শেষ নয়, অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধার সমাধান করার ধরন থেকে বোঝা যায় মানুষের চারিত্রিক দোষ-গুণও। এমনকী জানা যায়, তাঁর মধ্যে থাকা নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যও!
সম্প্রতি এমনই এক ধাঁধা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবি দেখে বিভিন্ন রকম মত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে ছবিটার আসল রহস্যটা কী, সেটাই আজ খুঁজে বার করব আমরা! প্রথমেই ছবিতে কী কী দেখা যাচ্ছে সেটাই দেখে নেওয়া যাক। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে বিশালাকার একটি গাছ। গাছের দুটি বড় শাখার মাঝে যে ফাঁকা স্থান রয়েছে, তার মধ্যে দিয়ে দেখা যাচ্ছে, পিছনে ছোট ছোট টিলার দৃশ্য। গাছের গোড়ার কাছে রয়েছে সবুজ ঝোপঝাড়। আর তারই মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে বড়সড় একটি কুকুর। অথচ এই ছবিটির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে একটি বিড়ালও। তাকেই মাত্র ৭ সেকেন্ডের মধ্যে খুঁজে বার করতে হবে।
যাই হোক, বিড়ালকে খুঁজে বার করার সময় শুরু হচ্ছে এখন থেকে। বলে রাখা ভাল, খুব কম সংখ্যক মানুষই বিড়ালটিকে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছে। মূলত যাঁদের আইকিউ বেশি, তাঁরাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন লুকিয়ে থাকা বিড়ালটিকে। আসলে আজকের এই ছবিটা একটু কৌশলী প্রকৃতির। ফলে সহজেই বিড়ালটিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সময় তো প্রায় ফুরিয়ে এল, তাহলে পাওয়া গেল কি সেই মার্জারকে? যদি না পাওয়া যায়, তাতেও সমস্যা নেই! সমাধানের জন্য আমরা তো আছিই। গাছের মোটা শাখা দু’টির মাঝ বরাবর লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে ওই দুই শাখা থেকে বেরোনো ডাল পালা যেন একটি বিড়ালের অবয়ব তৈরি করেছে। দেখে মনে হবে যে, গাছের মোটা শাখা বেয়ে নেমে আসছে বিড়ালটি!