লাহোর: লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামকে বলা হয় ব্যাটিং স্বর্গ। সেখানেই কিনা এমন ভরাডুবি টাইগারদের! প্রথমে ব্যাটিং করে সেই ব্যাটিং স্বর্গে বাংলাদেশ করল মাত্র ১৯৩ রান।
আধুনিক ক্রিকেটে (ওয়ানডে) এত কম রান পুঁজি নিয়ে লড়াই করা কঠিন। টাইগারদের বোলিং বিভাগ লড়াই করলে তাও একটা লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। কিন্তু এই পাকিস্তান ভয়ানক। এশিয়া কাপে তারা কোমর বেঁধেই নেমেছে।
পাক পেসাররা টাইগারদের নিয়ে ছেলেখেলা করল এদিন। পাকিস্তানি পেসারদের দাপটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বাংলাদেশি টপ অর্ডার। সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লড়াই করছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেন। তাঁকে সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম।
এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের হাফসেঞ্চুরিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতা তাদের চাপে ফেলে দেয়।
ব্যাট করতে নেমে ইমাম উল হক-মহম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে সহজেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। সাত উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপে ডার্বি জেতে পাকিস্তান।
নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ এদিন আগুন ঝরালেন যেন! হ্যারিস তুললেন চারটি উইকেট, নাসিম তিনটি। বাংলাদেশের শরিফুল ইসলাম ভাল বোলিং করেও কোনও উইকেট পাননি।
সদ্য আইসিসি ক্রমতালিকায় (একদিনের ক্রিকেটে) এক নম্বর হয়েছেন বাবর আজম। তিনি অবশ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এদিন রান পেলেন না। মাত্র ১৭ রান করেন তিনি। তবে বাবরের দল দুর্দান্ত পারফর্ম করছে এবার এশিয়া কাপে।
বিশেষ করে পাকিস্তানের পেস অ্যাটার ভয় ধরাচ্ছে বিপক্ষ দলগুলিকে। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচেও পাক পেসাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। এদিনও বাংলাদেশের ব্যাটারদের নিয়ে তারা ছেলেখেলা করলেন।