বিধানসভায় আলোচনার সময় বিরোধী বক্তাদের না দেখানোর অভিযোগ শুভেন্দুর, পাল্টা স্পিকারের

বিধানসভায় আলোচনার সময় বিরোধী বক্তাদের না দেখানোর অভিযোগ শুভেন্দুর, পাল্টা স্পিকারের
কলকাতা : বিধানসভার (West Bengal Assembly) অধিবেশনের লাইভ সম্প্রচারে একের পর এক বিরোধী বিধায়কের বক্তব্য চলাকালীন স্ক্রিনে দেখা গেল না কাউকেই। তার জায়গায় দেখা গেল স্পিকারকে। বিধানসভায় এর তীব্র প্রতিবাদ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা বললেন স্পিকারও।

পশ্চিমবঙ্গ দিবসের প্রস্তাব পাসের আগে বিধানসভায় অন্দরে একে অপরকে তুমুল আক্রমণ শানায় তৃণমূল-বিজেপি। অধিবেশনের লাইভ সম্প্রচার হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা ছাড়া প্রস্তাবের ওপর অন্য় বিধায়করা যখন বক্তব্য় রাখছিলেন, তখন তাদের ক্য়ামেরায় না দেখানো নিয়ে আপত্তি জানান শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে কার্যত উত্তপ্ত বাক্য় বিনিময় হয় বিরোধী দলনেতার।

স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বাইরে গিয়ে দেখে এলাম, এই ক্যামেরাগুলোয় শুধু আপনাকেই দেখাচ্ছে’। যদিও তাঁর অভিযোগকে মান্যতা দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তিনি বলেন, ‘আপনি যখন বলবেন আপনাকে দেখানো হবে । আমি জানি আপনি ক্যামেরায় মুখ দেখাতে ভালোবাসেন।’ পরে অবশ্য বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল যখন বক্তব্য রাখেন, তখন তাঁকে দেখা যায়নি লাইভ সম্প্রচারে।

এদিকে, ‘একসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভার ভোট হলে সরকার উল্টে যাবে, ২০২৬ সাল অবধি অপেক্ষা করতে হবে না’, ফের এক দেশ এক ভোটের পক্ষে সওয়াল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। আবার পয়লা বৈশাখের দিনই সরকারিভাবে পালন করা হবে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’, যা নিয়ে প্রস্তাব পাস হয়ে গেল বিধানসভায়। প্রস্তাবের বিপক্ষে বলতে উঠে, রীতিমতো কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস, এটা প্রমাণিত সত্য। রাকেশ রোশন যেমন চাঁদে যায়নি, ইন্দিরা গাঁধী চাঁদে যায়নি, কাজি নজরুল ইসলাম যেমন মহাভারত লেখেনি, রবি ঠাকুর যেমন ৪১ এ মারা গেছে ৪৭ এ যায়নি। এই ইতিহাসগুলো যেমন বদলানো যায়নি এই ইতিহাসও বদলানো যাবে না।’

(Feed Source: abplive.com)