বাথরুমে আচমকা ফোঁস ফোঁস শব্দ! দরজা একটু খুলতেই এ কী বেরিয়ে এল, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি

বাথরুমে আচমকা ফোঁস ফোঁস শব্দ! দরজা একটু খুলতেই এ কী বেরিয়ে এল, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি

কলকাতাঃ প্রকৃতির রূপ অনেক সময়ই ভয়ঙ্কর। আবার প্রকৃতির সন্তানেরাও পরস্পরকে ভয় পেয়ে চলে। সাপ দেখলেই মানুষের প্রাণ উড়ে যাওয়ার জোগাড় হয়। একই ভাবে মানুষকে ভয় পায় সাপও। পারস্পরিক এই ভীতি থেকেই ঘটে অঘটন। আত্মরক্ষার জন্যই আক্রমণ করে সাপ, বিষাক্ত হলে মানুষের ক্ষতি হয়। আবার সেই আতঙ্ক থেকেই সাপ মারতে উদ্যত হয় মানুষ। অনেক সময়ই নিরীহ প্রাণীর হত্যা হয়।

তবে অতি বিষাক্ত গোখরো বা চন্দ্রবোড়া দেখলে ভয় পাওয়াই স্বাভাবিক। গত কয়েক মাসে, প্রবল বর্ষার কারণে নানা জায়গায় দেখা গিয়েছে বিষাক্ত বা নির্বিষ সাপের আনাগোনা। সম্প্রতি তেমনই একটি বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল বিষাক্ত গোখরো। সাপ উদ্ধারের ঘটনা এখন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি রাজস্থানের কোটা শহরের। সেখানকার মহাবীর নগর এলাকার একটি বাড়ির শৌচাগারের মধ্যে লুকিয়ে ছিল একটি কালো সাপ। পরিবারের এক সদস্য শৌচাগারে এসে দেখেন ‘টয়লেট সিট’-র ভিতরে গোল হয়ে বসে রয়েছে বিপজ্জনক সাপটি। এমন ঘটনা দেখে ভয়ে রক্ত জল হয়ে যাওয়ারই কথা। হয়েছেও তেমনই। সাপ দেখে সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার জুড়ে দেন ওই পরিবারের সদস্যরা।

ইতিমধ্যেই বাড়ির ভিতর সাপ ঢোকার কথা জানাজানি হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় কোটা পুরসভার উদ্ধারকারী দলকে। ততক্ষণে পুরসভার তরফ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ফিনাইল ঢেলে দেওয়ার, যাতে সাপটি বেরিয়ে আসে। সেই মতো ফিনাইল ঢালা হয় ওই শৌচাগারে। সাপটি বাইরে বেরিয়ে আসে। আসলে ভয় ছিল সাপটি কোনও ভাবে যাতে পাইপের ভিতর ঢুকে না যায়।

ফিনাইল ঢেলে দেওয়ায় কাজ হয়। সাপটি টয়লেট সিট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বসে শৌচাগারের এক কোণায়। ততক্ষণে পুরসভার উদ্ধারকারী দলও সেখানে গিয়ে পৌঁছয়। অনেক কষ্টে উদ্ধার করা যায় সাপটিকে।উদ্ধারকারী দলের সদস্য রকি ড্যানিয়েল জানান, পাঁচ ফুটের বেশি লম্বা একটি কালো গোখরো সাপ ঢুকেছিল। পরিবারের সদস্যরা সহযোগিতা করেছেন। উদ্ধার হওয়া সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।

(Feed Source: news18.com)