সাত-সমুদ্র পেরিয়ে তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের গন্তব্য দিল্লি। সৌজন্যে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন। শনিবার দিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে (Bharat Mandapam Convention Center) শুরু হবে আন্তর্জাতিক এই ইভেন্ট। তার আগে একে একে ভারতের রাজধানীতে এসে পৌঁছচ্ছেন জি টোয়েন্টি তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষ নেতারা।
শুক্রবার সন্ধেয় দিল্লির মাটি ছোঁয় এয়ারফোর্স ওয়ান ! মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান প্রাক্তন সেনা প্রধান ও মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য ভি কে সিং-সহ অন্যরা। এরপর জো বাইডেন পৌঁছে যান, ৭ লোককল্যাণ মার্গে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে। বাইডেনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান মোদি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় একঘণ্টা বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও আলোচনা সেরে নেন মোদি (Prime Minister Narendra Modi)।
সূত্রের খবর, সম্মেলনের মাঝেই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ১৫-টিরও বেশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে করার কথা রয়েছে। তবে জি টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আসেননি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও। তাঁর পরিবর্তে জি টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছেছেন চিনের প্রধানমন্ত্রী লি শিয়াং।
লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের আবহে, তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনও আলোচনা হয় কি না, সেটাও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জি-টোয়েন্টি সম্মেলন উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে গোটা দিল্লি। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রনেতাদের আগমন উপলক্ষ্যে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দেশের রাজধানীকে। সম্মেলনে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছে গেছেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুলা ডি সিলভা, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো-সহ অন্যরা, শনিবার জি ২০ সম্মেলন উপলক্ষে নৈশভোজ। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ-কে। নৈশভোজে যোগ দিতে দিল্লি গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
(Feed Source: abplive.com)