দৃষ্টি বিভ্রম বা অপটিক্যাল ইলিউশন হল চোখের ধাঁধা। হামেশাই নানা রকম অপটিক্যাল ইলিউশন ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবির মধ্যে থেকে খুঁজে বার করতে হয় নানা রকম অবয়ব, অক্ষর ইত্যাদি। আর অপটিক্যাল ইলিউশন সমাধানের মাধ্যমে নিজের মস্তিষ্কের তীক্ষ্ণতা পরীক্ষা করে নেওয়া যায়। অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধায় বিভিন্ন কোণ অথবা বিভিন্ন আকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এগুলি খুঁজে বার করতে পারলে বা সমাধান করতে পারলেই বোঝা যায় যে, মানুষটির বুদ্ধির জোর এবং আইকিউ কতটা! এখানেই শেষ নয়, অপটিক্যাল ইলিউশনের ধাঁধার সমাধান করার ধরন থেকে বোঝা যায় মানুষের চারিত্রিক দোষ-গুণও। এমনকী জানা যায়, তাঁর মধ্যে থাকা নানা ধরনের বৈশিষ্ট্যও!
ছবিটিতে প্রথমেই কাকে দেখছেন?
সম্প্রতি এমনই এক ধাঁধা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ছবি দেখে বিভিন্ন রকম মত প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে ছবিটার আসল রহস্যটা কী, সেটাই আজ খুঁজে বার করব আমরা! এর জন্য প্রথমে ছবিটিতে কী কী দেখা যাচ্ছে, সেটা দেখে নেওয়া যাক।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে বিশাল সুউচ্চ দু’টি গিরিখাত। তার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে একটি নদী। এছাড়াও ছবিটির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে আরও নানা বিষয়। এর মধ্যে কে প্রথমে কোনটা দেখছেন, তার থেকেই বোঝা যাবে চরিত্রের নানা দিক। আসলে আমরা সহানুভূতিশীল না কি দৃঢ়চেতা প্রকৃতির, সেটাই জেনে নেওয়া যাবে ছবিটির মাধ্যমে।
নদী:
যাঁরা প্রথমেই নদী দেখছেন, তাঁরা সাধারণত অন্তর্মুখী প্রকৃতির হন। জীবনে সব সময় বুদ্ধি করে নিরাপদ সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হন এঁরা। বিশেষ করে সাহসী পদক্ষেপ করতে কিংবা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এঁদের জুড়ি মেলা ভার।
মহিলা:
যাঁরা প্রথমেই মহিলাকে দেখছেন, তাঁদের চিত্তাকর্ষক গুণ থাকে। শুধু তা-ই নয়, দুর্দান্ত কমিউনিকেশনের ক্ষমতারও অধিকারী হন। এর ফলে তাঁরা জীবনের যে কোনও জটিল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হন। এই ধরনের মানুষগুলি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল।
নেকড়ে:
যাঁরা প্রথমে নেকড়েটিকে দেখছেন, তাঁরা জীবনের যে কোনও বাধা-বিপত্তি সাহসিকতার সঙ্গে কাটিয়ে উঠতে পারেন। উদ্বেগকে সেভাবে পাত্তা দেন না এঁরা। তবে এই মানুষগুলি ভাবার আগেই কাজ করে ফেলে। এছাড়া প্রাণবন্ত প্রকৃতির হন এঁরা।
ভল্লুক:
যাঁরা ভল্লুকটিকে প্রথমেই দেখছেন, জীবনের প্রতি তাঁদের শান্ত এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে থাকেন এঁরা।