বিদ্যুৎচালিত গাড়ির চাহিদা তুঙ্গে, একবার কিনলে হাজার ঝামেলা থেকে রেহাই

বিদ্যুৎচালিত গাড়ির চাহিদা তুঙ্গে, একবার কিনলে হাজার ঝামেলা থেকে রেহাই

৯ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্ব জুড়ে পালন করা হয় বিশ্ব ইভি দিবস। বিদ্যুৎ চালিত যানের দিকে মানুষের উৎসাহ বাড়াতে এই ধরনের যানের উৎপাদনও বেড়েছে। দেশ জুড়ে বেড়েছে এই বিদ্যুৎ চালিত স্কুটি-বাইকের সংখ্যা।

পরিবেশবান্ধব বস্তুর ব্যবহার বাড়াতে সারা বিশ্ব জুড়েই নানারকম প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে একটি হল বিদ্যুৎ চালিত বাহনের ব্যবহার। এই ধরনের যন্ত্রের তাৎপর্য কতটা তা বোঝাতেই বছরের একটি দিন পালন করা হয় বিশ্ব ইভি দিবস। ভারতেও এই মুহূর্তে বাড়ছে ইলেক্ট্রিক গাড়ির সংখ্যা। দূষণ কমাতেই মূলত এই ধরনের গাড়ির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা মোটোভোল্টের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তুষার চৌধুরী জানান ভারতে এই ধরনের গাড়ি উৎপাদনের পরিসংখ্যান।

তাঁর কথায়, ‘কমবেশি ৫০ থেকে ৬০ হাজারল ই-বাইক প্রতি বছর ভারতে তৈরি হয়। গত কয়েক বছর ধরেই এই উৎপাদনের হার ক্রমশ বাড়ছে। তবে এও ঠিক, এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়াও মুশকিল। কারণ, ভারত সরকার এখনও এই ধরনের গাড়ির কোনও নথিভুক্তিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেনি। ফলে আসল পরিসংখ্যান এখনও অধরা।’ সংস্থার নিজের উৎপাদন ও বিক্রির হার কেমন তার একটি রূপরেখা দিলেন তুষার চৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘বাজারের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ উৎপাদন তাদের সংস্থার মাধ্যমেই হয়। গত কয়েক বছরে সেই উৎপাদনের হার বেড়েছে বৈ কমেনি।’ গত তিন-চার বছরের কথা তুলে এমনটাই জানালেন তিনি।

প্রসঙ্গত, পেট্রোলচালিত গাড়ির ফলে দূষণের হার অনেকটাই বেড়ে যায়। বিষাক্ত কার্বন মনো অক্সাইড, নাইট্রোজেন গ্যাস বাতাসকে দূষিত করে। তাছাড়াও, পেট্রোলের মাত্রাতিরিক্ত দাম পকেটে টানের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাজারে পেট্রোলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার ছাড়াও সরকারের নানাসময়ের নীতির উপরেও নির্ভরশীল। ইলেকট্রিক ভেহিকল কিনলে সেসবের চিন্তা নেই। বরং এককালীন খরচেই অনেক দিন নিশ্চিন্তে চালানো যেতে পারে এই গাড়ি। পরিবেশ ও নিজের পকেটের দুইয়ের উপকারের জন্যই ইলেক্ট্রিক গাড়ি চালাতে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। পুরনো গাড়ি নষ্ট করে ফেলার ক্ষেত্রেও বাজেটে নয়া নীতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

(Feed Source: hindustantimes.com)