জেনি আর মাধুরীর টানেই এবার পুজোয় গরুমারার জঙ্গল, ডুয়ার্স পর্যটনে নয়া জোয়ার

জেনি আর মাধুরীর টানেই এবার পুজোয় গরুমারার জঙ্গল, ডুয়ার্স পর্যটনে নয়া জোয়ার

সামনেই পুজো। বেড়াতে যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছানো শুরু হয়ে গেছে অনেকের বাড়িতেই। কেউ যাচ্ছেন ডুয়ার্স কেউ যাচ্ছেন পাহাড়। বাঙালির পুজো ভ্রমণ বলতে এই পাহাড় আর ডুয়ার্স দুটোই বেশ জনপ্রিয়। তবে এবার পুজোর মুখে গরুমারা কে ঘিরে বনদপ্তরের বিশেষ ঘোষণা ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা কে কার্যত তুঙ্গে তুলে দিয়েছে। আর তার জন্য যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তারা হল জেনি আর মাধুরী।

ওরা কোন মানুষ নয়।ওরা হল কুনকি হাতি। গরুমারা অভয়ারণ্যে হাতি সাফারি নিয়মিত করার জন্য এই দুই কুনকি হাতিকে নিয়ে আসা হয়েছে। জলদাপাড়া থেকে রীতিমতো ট্রাকে চাপিয়ে তাদের গরুমারাতে নিয়ে আসা হয়েছে। তারাই এবার পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ। সেই জেনি আর মাধুরীর টানেই গরুমারা নিয়ে বিশেষ খোঁজখবর করছেন পর্যটকরা।

আসলে করোনার পরবর্তী সময় থেকেই গরুমারা অভয়ারণ্যে বন্ধ ছিল হাতি দাফারি।কিন্তু পর্যটকদের তরফ থেকে বারবার আবেদন করা হচ্ছিল গরুমারাতে যাতে ফের হাতি সাফারি চালু করা হয়। আর পুজোর মুখে এল সেই সুখবর।

২৮ বছর বয়সী জেনি। আর ২০ বছর বয়সী মাধুরী। পর্যটকদের পিঠে চাপিয়ে হাতিরা বের হবে জঙ্গল সাফারিতে। তবে গরুমারার পথঘাট ওদের ঠিক চেনা নেই। সে কারণেই এই জঙ্গলের সাথে ওদের পরিচয় করানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

জলদাপাড়ার কোদাল বস্তি রেঞ্জ থেকে আনা হয়েছে মাধুরী হাতিকে। জলদাপাড়া চিলাপাতা রেঞ্জ থেকে আনা হয়েছে কুনকি হাতে জেনিকে। তাদের নিয়েই এবার পর্যটকদের যাবতীয় আকর্ষণ। নতুন করে হাতিসাফারি চালু হওয়ার উদ্যোগকে ঘিরে পর্যটন ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত খুশি। তাদের আশা এবার গরুমারাতে পর্যটকদের ঢল নামবে।

আসলে জঙ্গলের পথে পথে হাতির পিঠে চেপে সাফারি করার মজাই আলাদা। একটি কুনকি হাতিকে রাখা হয়েছে ধূপঝোড়াতে । অপর কুনকি হাতিকে রাখা হচ্ছে কালিপুর পর্যটক আবাসের কাছে। সেখানকার হাতিশালাতেই থাকবে তারা। তাদের যত্ন আত্তির যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আর ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে জঙ্গল। তারপরই পুজো। পুজো মানেই হইহই করে ডুয়ার্সে। কিন্তু জঙ্গলের নিয়ম মেনেই জঙ্গলে যান এটাই অনুরোধ সকলের কাছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)