‘গর্বিত হিন্দু’ মানে কী? বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক

‘গর্বিত হিন্দু’ মানে কী? বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক
নয়াদিল্লি: G20 সম্মেলন নিয়ে চূড়ান্ত ব্য়স্ততা। প্রচুর কাজ। তার ফাঁকেই সময় বের করেছিলেন তিনি- ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরে। নিজে হাতে পুজো করেন, অভিষেকও করেন। মন্দিরের পূজারী ও সন্ন্যাসীদের সঙ্গে কথাও বলেন। বাদ যায়নি ফটোসেশনও।

ভোর সাড়ে ছটায় ঋষি সুনক এবং তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি পৌঁছে গিয়েছিলেন অক্ষরধাম মন্দিরে। দিল্লিজুড়ে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই মন্দিরে পৌঁছন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এটাই  প্রথম ভারত সফর ঋষি সুনকের। ভারতে পৌঁছেই তিনি জানিয়েছিলেন ভারত-যোগ নিয়ে তিবি গর্বিত, তাঁর হিন্দু পরিচয় নিয়েও গর্বিত বলে জানিয়েছিলেন তিনি। রাখিবন্ধন উৎসবও যে পালন করেন সেটাও জানিয়েছিলেন। মন্দিরের পুজো দিয়ে দর্শন করার পরে একটি পোস্ট করা হয়েছে UK in India-এর X হ্যান্ডেলে। সেখানে কী বলেছেন ঋষি সুনক?

তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার ভারতীয় শিকড় নিয়ে, ভারতের সঙ্গে যোগ নিয়ে ভীষণ গর্বিত। গর্বিত হিন্দু মানে আমার সঙ্গে সবসময় ভারতের যোগ থাকবে, ভারতের লোকজনের সঙ্গে যোগ থাকবে।’

এর আগে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত রাম কথা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও নিজের হিন্দু পরিচয়কে সামনে রেখে বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। বলেছিলেন,  ‘আমি এখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসিনি, একজন হিন্দু হিসেবে এসেছি।’ তাঁর সেই বক্তব্য ভাইরাল হয়েছিল। তিনি আরও বলেছিলেন,’ভগবান রামের থেকে আমি সবসময় উৎসাহ পাই। জীবনে সবরকম চ্য়ালেঞ্জ মোকাবিলা করার সাহস, নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করার উৎসাহ পাই।’ সেদিনের বক্তব্যও শেষ করেছিলেন মুখে রাম-নাম নিয়ে।

ঋষি সুনক ব্রিটেনের কনসার্ভেটিভ পার্টির নেতা। ৪৩ বছরের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রথম সাংসদ হন ২০১৫ সালে। বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্বের সময় ঋষি সুনক অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে তিনি প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি ভারতের অন্যতম বৃহৎ আইটি শিল্পপতি নারায়ণা মূর্তির মেয়ে।

(Feed Source: abplive.com)