দেশের বৃহত্তম এয়ারলাইন সংস্থা ইন্ডিগো, পাইলটদের উড়ানের আগে এবং পরে শারীরিক ক্লান্তি পরীক্ষা করতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার চালু করতে চলেছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিমানে পরিচালনা করার ফলে অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে অনেক পাইলট এবং পরবর্তী বিমান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যায় মধ্যে পড়তে হয়। তবে, এই নতুন প্রযুক্তি পাইলটদের বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি এবং ডেটাবেসে থাকা তথ্য ব্যবহার করে সহজেই ফলাফল জানাবে, আদৌও কোনও পাইলট তার পরবর্তী ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রস্তুত কিনা। এর ফলে আরও নিরাপদ হবে বিমান পরিচালনা।
ইন্ডিগো, তাদের এই বিশেষ ধরণের ক্লান্তি বিশ্লেষণ টুল স্থাপনের লক্ষ্যে একটি ফরাসি সংস্থা থ্যালস গ্রুপের সাথে অংশীদারিত্বে কাজ করছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে থ্যালস গ্রুপের সহযোগিতায় এই পরীক্ষা শুরু করতে চলেছ। ডিভাইসগুলি যাত্রা পথের দূরত্ব, ক্রু প্রোফাইল, এবং আরও অনেক কিছু তথ্য এবং পাইলটদের শারীরিক অবস্থার উপর তথ্য বিশ্লেষণ করে ফলাফল জানাবে। প্রাথমিকভাবে, দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাইয়ের মতো ইন্ডিগোর বড় ঘাঁটিগুলিতে গ্রাউন্ড ডিভাইসগুলি স্থাপন করা হবে। যেখানে পাইলটদের পাঁচ মিনিটের পরীক্ষা করা হবে।
১৭ অগস্ট নাগপুর বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর একজন পাইলট ডিউটি করার সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়ে মারা যায়। মৃত্যুর আগে ওই পাইলট নাগপুর থেকে পুনে যাওয়ার জন্য একটি বিমান চালনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই ঘটনাটি বিমান পরিচালকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়। পাইলটরা দাবি করেছিলেন যে খরচ কমানোর জন্য, এয়ারলাইনগুলি বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ দ্বারা নির্ধারিত দুর্বল নিয়মগুলি ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে আরও বেশি বিমানের উড়ান চালনা করাচ্ছে। এর পরেই পাইলটদের মধ্যে ক্লান্তির বিষয়টি নজরে আসে ইন্ডিগোর। তারপর এই পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আমাদের পাইলটদের সুস্থতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাদের স্বাস্থ্য এবং মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে, শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’
(Feed Source: hindustantimes.com)