৩ বছরে এক লাফে কয়েক গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি, স্ক্যানারে আর কী কী খতিয়ে দেখা হচ্ছে

৩ বছরে এক লাফে কয়েক গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি, স্ক্যানারে আর কী কী খতিয়ে দেখা হচ্ছে

হাওড়া : কনস্টেবল মনোজিতের বিপুল সম্পত্তির নেপথ্যে কি ‘তোলাবাজি’? ভাবাচ্ছে এসিবি কর্তাদের৷  হাওড়া গ্রামীণে কর্মরত থাকার সময়কালে (২০১২-২০১৫) সম্পত্তির বৃদ্ধি হয়েছে ব্যাপক৷

সেই সময়কালে তার বিরুদ্ধে কোনও তোলাবাজির অভিযোগ এসেছিল কী? – এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ শুধু তাই নয় মনোজিৎ বাগীশের সময় কালে তার সঙ্গে এই ধরণের কাজের সূত্র ধরে আর কোনও পুলিশ কর্মীরও সম্পত্তির বেলাগাম বৃদ্ধি নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷  খতিয়ে দেখা হচ্ছে মনোজিতের সঙ্গে অন্য কোনও পুলিশ কর্মী যোগ রয়েছে কিনা?

মনোজিৎ বাগীশের স্ত্রী ও অন্য কোনও ঘনিষ্ঠর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা সরেছে কি না তাও যাচাই করে দেখছে রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা৷

২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বেতন বাবদ তাঁর বেতন বাবদ আয় ১০ লক্ষ টাকা, কিন্তু ওই সময় কালে ফিক্সড ডিপোজিট ৪০ লক্ষের বেশি৷ কী করে একজন বেতনভোগ কর্মীর এত দ্রুত এতটা টাকা বৃদ্ধি পেল তা স্ক্যানারের নিচে রয়েছে৷

এর আগে  পুলিশ কনস্টেবলের কোটি টাকার সম্পত্তি৷ আর সেই সম্পত্তি দেখেই কার্যত চোখ কপালে উঠেছে পুলিশের তদন্তকারী অফিসার থেকে সকলেরই৷ শুধু তাই নয়, ১১ লক্ষ টাকা দিয়ে বান্ধবীকে গাড়িও উপহার দিয়েছিলেন রামপুরহাট থানায় কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশ৷ শনিবার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তির অধিকারী এই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা৷

পুলিশ জানিয়েছে, মনোজিতের বাড়ি বারুইপুরে৷ তিনি রামপুরহাট থানায় কর্তব্যরত ছিলেন৷ আয় বহির্ভূত সম্পত্তি রাখার দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন শাখা৷ এই ধৃত কনস্টেবলের মোট সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগ, জীবনবিমা, স্থায়ী বিনিয়োগের মতো একাধিক বিষয়৷ পুলিশে সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোজিতের মোট ৭৬ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান মিলেছে৷ এ ছাড়া মোট ৯ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৯১ টাকার এলআইসি পলিসিও উদ্ধার করা হয়েছে৷ পাশাপাশি, দেখা গিয়েছে, তিনি বান্ধবীকে মোট ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দামের গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন৷

(Feed Source: news18.com)