বিশদে…
ঘটনাটি লন্ডনের হাইড পার্কের, দাবি নেটিজেনদেরই একাংশের। সেখানে একটি বিলাসবহুল কালো গাড়ির সামনে, চালকের পাশের আসনে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে। কথা বলতে বলতে গাড়িটির দিকে এগিয়ে যান ওই মহিলা। প্রথমে হাত নাড়ান, পাল্টা হাত নাড়াতে দেখা যায় নওয়াজ শরিফকেও। গাড়ির কাচ নামান চালক। তার পরই ওই মহিলার মন্তব্য, ‘শুনেছি আপনি এক জন অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ।’ কথা শেষ হতে না হতেই তাঁর মুখের উপর থুথু ছিটিয়ে গাড়ির কাচ তুলে বেরিয়ে যান প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। গাড়ির কাচের প্রতিফলনে দেখা যায়, গোটা পর্বটিই নিজের মোবাইলে রেকর্ড করছিলেন মহিলা।
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই ভাইরাল হয়েছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের সদস্য, ডক্টর ফতিমা কে সেটি নিজের X হ্যান্ডেলে পোস্ট করার সঙ্গে লেখেন, ‘কোনও উদারপন্থী, বুদ্ধিজীবী বা নারীবাদীকে এর প্রতিবাদ করতে দেখলাম না। এই পক্ষপাতদুষ্ট নৈতিকতাকে ধিক্কার, বিরক্তিকর।’
প্রতিক্রিয়া…
রাজনৈতিক মহলের প্রতিক্রিয়া আসুক বা না আসুক, নেটিজেনদের মধ্যে অসন্তোষের সুর স্পষ্টই ধরা পড়েছে। একজন যেমন লেখেন, ‘উনি প্রমাণ করে দিলেন যে শুধু দুর্নীতিগ্রস্ত নন, একজন আদ্যন্ত বদমাইশ লোক।’ আর এক জনের প্রতিক্রিয়া, ‘…এই ধরনের রাইনোসেরাসকে পাকিস্তানিদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়।’ দুর্নীতির দুটি মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। তবে লাহৌর হাইকোর্ট তাঁকে চিকিৎসার জন্য চার সপ্তাহ বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার পর, ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে তিনি লন্ডনেই থাকেন। চলতি বছরের ২১ অক্টোবর পাকিস্তানে ফেরার কথা তাঁর। সে দেশের আসন্ন নির্বাচনে প্রচার করবেন নওয়াজ, এমনই খবর সূত্রে। এমনকি, এই সাধারণ নির্বাচনে দল ক্ষমতায় এলে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন, সে কথা অতীতে জানিয়েছিলেন নওয়াজের ভাই তথা প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
কিন্তু এই ধরনের বিতর্ক কি প্রধানমন্ত্রিত্বের পথ সহজ করবে?
(Feed Source: abplive.com)