মোদি সরকারের আনা বিলে সমর্থন করবে তৃণমূল, আলোচনায় অংশ নেবেন কাকলি ও মহুয়া

মোদি সরকারের আনা বিলে সমর্থন করবে তৃণমূল, আলোচনায় অংশ নেবেন কাকলি ও মহুয়া

নয়াদিল্লি: মহিলা সংরক্ষণ বিলে সমর্থন রয়েছে তৃণমূলের। বুধবার লোকসভায় বিলটি নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলবেন কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং মহুয়া মৈত্র। তবে দলের পক্ষ থেকে বিলটি সম্পর্কে কিছু গঠনমূলক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মোদি সরকার যতই বিল আনুক, পশ্চিমবঙ্গে তার কোনও সুফল নেই। কারণ, বাংলার মানুষ রাজ্যে মহিলা জনপ্রতিনিধি দেখে অভ্যস্ত।

এ দিকে, বিলটি নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করেছে কংগ্রেস। সনিয়া গান্ধি বলেছেন, এই বিলটি তাঁদেরই আনা। দলের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী জানান, এই বিলে কতটা অংশে ধোঁকা রয়েছে, তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। বিলে উল্লেখিত বিধি তুলে ধরে তিনি জানান, ২০২৯ সালের আগে এই বিল কার্যকর হবে না।

অধীর চৌধুরীর দাবি, “মহিলাদের ভোটব্যাঙ্ক মোদির কাছে লোভনীয়। সেই কারণেই ছেলেদের থেকে মেয়েদের কথা বেশি বলছেন তিনি। উজ্জ্বল যোজনা থেকে মহিলারা কতটা উপকৃত হয়েছেন, সেটা তুলে ধরা হবে। আপনি অপেক্ষা করুন। আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও।” মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল লোকসভায় মহিলাদের সংরক্ষণ বিল পেশ করেন। বুধবার হবে বিস্তারিত আলোচনা এবং পাস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর প্রথম ভাষণে নারী সংরক্ষণ বিলের কথা উল্লেখ করে বলেন, “বহু বছর ধরে নারী সংরক্ষণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেক কথাবার্তা হয়েছে। ৯৬ সালে প্রথম চালু হয়েছিল। এমনকি অটলজির সময়েও আমি বেশ কয়েকবার হাজির হয়েছিলাম। কিন্তু সংখ্যার অভাবে পাস করাতে পারিনি।”

রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘আজ একটি স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন। এর আগে লোকসভায়ও আমার অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি। এখন আপনি আমাকে রাজ্যসভাতেও সুযোগ দিয়েছেন। আমি কৃতজ্ঞ। এটাই ছিল সংবিধান প্রণেতাদের উদ্দেশ্য। এই হাউস রাজনীতির বিশৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে উঠে গুরুতর বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হবে এবং দেশকে দিক নির্দেশনা দেওয়ার শক্তি দেবে।’’

সোমবার নয়াদিল্লিতে সংসদের অ্যানেক্স হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। দিনভর বৈঠক করেন সিনিয়র মন্ত্রীরা। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে বিরোধীদের দীর্ঘদিনের দাবি মানছে মোদি সরকার। যা ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এক বিরাট সিদ্ধান্ত।

(Feed Source: news18.com)