আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বিল যাতে নির্বিঘ্নে পাস হয়ে যায় তার জন্য বিরোধীদের উদ্দেশ্যে আবেদন জানান। এমনকী তিনি এমন আশ্বাসও দেন, বিলে যদি কোনও ত্রুটি থেকে থাকে তা পরে ঠিক করে নেওয়া হবে। কিন্তু, এই বিলের প্রণয়নে যাতে কোনও দীর্ঘসূত্রিতা না হয় সেই লক্ষ্যে, শাহ বলেন, “ভোটের পর পরই পরবর্তী সরকার জনসুমারি ও ডিলিমিটেশনের কাজ করবে।” সংবিধান (১২৮ তম সংশোধন) বিল নিয়ে বিতর্কে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০২৯-এর পর মহিলা সংরক্ষণ বিল বাস্তবে রূপায়িত হবে। কিন্তু, তার আগে এর জন্য যে রাস্তাটা তৈরি করে দেওয়া হবে তা নতুন যুগের সূচনা করবে। এপ্রসঙ্গে শাহ উল্লেখ করেন, “সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মহিলা-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদি সরকার মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। মহিলাদের নিরাপত্তা, সম্মান ও সমান যোগদানের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে এই সরকার।” শুধু তা-ই নিয়ে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি শাহ। তিনি উল্লেখ করেন, “মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়ে এটা পঞ্চম বারের চেষ্টা। আগে কেন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠা যায়নি ? ১৯৯৬ সালে প্রথম এইচ ডি দেবগৌড়া সরকার এই বিল নিয়ে এসেছিল।”
কী রয়েছে বিলে ?
এই বিলে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসনে সংরক্ষণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত মোট আসনের এক তৃতীয়াংশ সেই গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য বরাদ্দ করা উচিত। বিল অনুযায়ী, আইন প্রণয়ন হয়ে গেলে আগামী ১৫ বছর মহিলাদের জন্য এই সংরক্ষণ থাকবে। তবে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর বক্তব্য, এই বিলটি “অসম্পূর্ণ।” কারণ, এতে ওবিসি মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়নি। যদিও এই বিলের সমর্থন জানান ওয়েইনাড়ের সাংসদ।
(Feed Source: abplive.com)