‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও আছেন জানানোর পর থেকেই হয়রানি শুরু’ : ইডি

‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও আছেন জানানোর পর থেকেই হয়রানি শুরু’ : ইডি
সৌভিক মজুমদার ও প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps and Bounds) অফিসে ফাইল ডাউনলোড মামলায় আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডির। ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও আছেন জানানোর পর থেকেই হয়রানি শুরু, আমাদের বলতে বাধা নেই যে সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের নির্দেশে এসব হচ্ছে’, ফাইলকাণ্ডে পুলিশের তদন্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিস্ফোরক যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা যুক্তি দিয়েছে রাজ্যও।

হাইকোর্টে ইডির আইনজীবীর দাবি, ‘বারবার এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তদন্তের গতি স্তব্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশকে নিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে, নেপথ্যে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে’ । লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ফাইল ডাউনলোড মামলায় পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগে ইডি বিস্ফোরক-র দাবি পাল্টা যুক্তি দিয়েছে রাজ্যও। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের তল্লাশিতে আসল ইডি গিয়েছিল কিনা জানব কী করে ? মাঝেমধ্যেই ভুয়ো সিবিআই-ইডি-সিআইডি আধিকারিক ধরা পড়ে। তাই যারা তল্লাশিতে গিয়েছিলেন তাঁদের পরিচয় জানতে চেয়েছে পুলিশ। আমরা ইডির কাছে ইমেল মারফত কিছু প্রশ্নের উত্তর চেয়েছি, এতে হয়রানি কীসের ? সাইবার শাখায় অভিযোগ হয়েছিল, সেই প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করছি। কখনও ইডির কাজে হস্তক্ষেপ করিনি। নিজেদের কাজের বাইরে গিয়ে ইডি ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করেছে। তাই আমাদের অনুসন্ধান করতে হচ্ছে, ইডি নিজেই ভুল স্বীকার করেছে’, হাইকোর্টে সওয়াল রাজ্যের।

২১ অগাস্ট, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে হানা দেয় ED। আর ২৩ অগাস্ট, ED-র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংস্থার CEO। ২৫ অগাস্ট লালবাজারে ফাইল ডাউনলোডের অভিযোগ করেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সহকারী হিসাবরক্ষক। ২৭ অগাস্ট, ফাইল ডাউনলোড সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ED-কে ইমেল করে লালবাজার। ১৩ সেপ্টেম্বর ED-র ম্যারথন জিজ্ঞাসাবাদের পর লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের সিইও প্রসঙ্গে মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই প্রেক্ষাপটে, এদিন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ফাইল ডাউনলোড সংক্রান্ত মামলায় ED-র আইনজীবী বলেন, আমরা যখনই জানিয়েছি যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের CEO রয়েছেন, তার পর থেকেই এই হয়রানি শুরু হয়েছে।

ইডি ও রাজ্যের বক্তব্য শুনে এদিন মৌখিক নির্দেশে বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) বলেন, যতক্ষণ মামলা বিচারাধীন, ততক্ষণ ১৬টি ফাইল ডাউনলোড নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।

(Feed Source: abplive.com)