সড়কপথে আগামী মোট ৪০ দিন ধরে প্রায় ৪ হাজার টন ইলিশ বাংলায় পাঠানোর বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। রুপোলি শস্যর আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকে এক বছরের বিচারে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। পাশাপাশি পুজোর আগে এর আগে ৩০ দিন ধরে ইলিশ আসায় ছাড়পত্র ছিল, যা বেড়েছে আরও ১০ দিন। পদ্মার ইলিশ আসার প্রথম দিন ৯ টি ট্রাকে প্রায় ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ এসে পৌঁছেছে রাজ্যে।
ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (Fish Importers Assosiation) সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, সাতশো গ্রাম থেকে এক কিলো ২০০ গ্রামের ইলিশ আসবে। ইলিশ আসার পরিমাণ বাড়লে রাজ্যে রুপোলি শস্যের দাম কমবে বলেও প্রত্যাশা তাঁর। বাংলাদেশ থেকে যে ইলিশ এসে পৌঁছচ্ছে তা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যাবে। মূলত কলকাতা ও তৎসংলগ্ন শহরতলীতে যাবে যার বেশিরভাগ।
বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া ও তার সঙ্গে ইলিশের গভীর সম্পর্ক। ভারত (India) শুধু প্রতিবেশী রাষ্ট্রই তো নয়, ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের যে বিশেষ সম্পর্ক সেই কথা মাথায় রেখেই পুজোর আগে বাছাই করে ৭৯ টি সংস্থাকে ভারতে ধাপে ধাপে মোট ৩ হাজারে ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ নিয়ে আসার ছাড়পত্র দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।
পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, বাংলাদেশের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যদি প্রস্তাবিত পরিমাণ ইলিশ পাঠানোর পরও দেখা যায় আরও ইলিশ প্রয়োজন পড়ছে, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ে আরও বিবেচনা করে আরও ইলিশ পাঠানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রস্তত বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Government)।