কী ঘটেছিল?
খুদের নাম থিয়া চেজ বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। গত বুধবার, মার্কিন স্থানীয় সময় অনুযায়ী, রাত ৮টা নাগাদ হঠাতই ফেথহর্ন টাউনশিপের পুলিশের কাছে খবর যায়, ২ বছরের থিয়াকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খুদের বাড়ির অবস্থা তখন সহজেই অনুমেয়। পুলিশ তন্ন তন্ন করে খোঁজ শুরু করে। ওইটুকু শিশু কোথায় যেতে পারে? তাও সন্ধের অন্ধকারে? পুলিশ-কুকুর থেকে ড্রোন, থিয়াকে খুঁজতে বাকি রাখা হয়নি কোনও কিছুই। এদিকে সন্ধে গড়িয়ে রাত নামলেও কোনও খবর নেই তার। হঠাৎ মাঝরাতে, ফেথহর্নেরই আর এক বাসিন্দার নজরে আসে, দুই পোষ্য সারমেয়কে নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে এক একরত্তি শিশু। খবর যায় পুলিশে। মিশিগান পুলিশের আধিকারিক, লেফটেন্যান্ট মার্ক গিয়ান্নুজিও বলেন, ‘বাচ্চাটি ঘুমিয়ে পড়েছিল। একটি পোষ্যকে মাথার বালিশ করে সে ঘুমোয়, আর একটি পোষ্য তার পাশেই বসেছিল। শিশুটিকে পাহারা দিচ্ছিল বলা যায়। অদ্ভুত সুন্দর ঘটনা।’ ফেথহর্নের ওই ব্যক্তি পুলিশে খবর দিতেই, শিশুকে উদ্ধার করা হয়। তার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সে একেবারে সুস্থ রয়েছে। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হল, যেখান থেকে থিয়াকে উদ্ধার করা হয় সেটি তার বাড়ি থেকে ৩ মাইল দূরে। সন্ধের অন্ধকারে অতটুকু বাচ্চা এত দূরে গেল কী ভাবে? পোষ্যদুটিই বা তার সঙ্গে গেল কী ভাবে?
আর যা…
মিশিগান স্টেট পুলিশ সূত্রে খবর, যে দুটি সারমেয় শিশুটির সঙ্গে ছিল, তাদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ছোট সারমেয়টিকে মাথার বালিশ করে ঘুমোচ্ছিল থিয়া। অন্যটি অর্থাৎ ‘রটওয়েলার’ পুরোপুরি ‘গার্ডিয়ান’-এর ভূমিকা নিয়ে পাহারা দিয়ে গিয়েছে থিয়াকে। এখনও পর্যন্ত পুলিশের তদন্ত যা বলছে, তাতে এই ঘটনায় কোনও ষ়়ড়যন্ত্রের গন্ধ নেই। কর্তব্যে গাফিলতির কোনও অভিযোগও এখনও পর্যন্ত করার জায়গা নেই। আপাতত তাই একরত্তি থিয়া ও তার ২ চারপেয়ে বন্ধুর অভিনব গল্পেই মজে পোড়খাওয়া পুলিশ আধিকারিকরা।
(Feed Source: abplive.com)