দু’দেশের সম্পর্ক উন্নত করতে এদেশে আসা, নয়াদিল্লিতে দাঁড়িয়ে বার্তা কানাডার উপ সেনাপ্রধানের

দু’দেশের সম্পর্ক উন্নত করতে এদেশে আসা, নয়াদিল্লিতে দাঁড়িয়ে বার্তা কানাডার উপ সেনাপ্রধানের
নয়াদিল্লি: দু-দেশের সম্পর্ক ঠিক করতে নয়াদিল্লি এসেছেন, অন্তত তেমনই জানালেন কানাডার উপ সেনাপ্রধান (Canada Deputy Army Chief) জেনারেল পিটার স্কট। এই মুহূর্তে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস কনফারেন্স’ উপলক্ষ্যে রাজধানী শহরে রয়েছেন জেনারেল স্কট। খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী (Khalistani Leader Death) হরদীপ সিংহ নিজ্জরের মৃত্যু নিয়ে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে (India Canada Relation) যখন টানাপড়েন চলছে, সেই সময় সে দেশের উপ সেনাপ্রধানের নয়াদিল্লিতে দাঁড়িয়ে এই ধরনের মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

কী জানালেন জেনারেল স্কট?
কানাডার ডেপুটি আর্মি চিফের বক্তব্য, বিতর্কে ইতি চানতে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে লাগাতার আলোচনা চলছে। তবে একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুজো কী জানিয়েছেন সে সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। সরকার যে ভারতকে তদন্তে যোগ দিতে ও সহযোগিতা করতে আর্জি জানিয়েছে, সেটাও জানি। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, এখানে ইন্দো-প্যাসিফিক কনফারেন্সে তার কোনও প্রভাব নেই। আমরা এখানে সেনাস্তরে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এসেছি। ওই বিষয়টি আমাদের দুই সরকার বুঝে নেবে।’ তাঁর আরও সংযোজন. ‘আমরা এখানে এসে সত্যিই খুব আনন্দিত। ভারত যে এই শীর্ষবৈঠকের আয়োজন করছে, তাতেও আমরা আপ্লুত।’ ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডের সঙ্গে সোমবার তাঁর যে বৈঠক হয়, সে কথাও শোনা গিয়েছে কানাডার উপ সেনাপ্রধানের মুখে। সেনাস্তরে সম্পর্ক গঠনের এই উদ্যোগ নিয়ে তাঁর এই মন্তব্য অবশ্য বর্তমানে নয়াদিল্লি-ওটাওয়া সম্পর্কের টানাপড়েন আড়াল করতে পারছে না।

প্রেক্ষাপট…
খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের মৃত্যুতে হালেই একেবারে সরাসরি ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় কানাডা সরকার। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতের দিকে আঙুল তোলেন। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-র এজেন্টরা কানাডার মাটিতে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালাচ্ছেন, তাতে কানাডার সার্বভৌমিকতা নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও নিউ ইয়র্কের সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগের সমর্থনে কোনও প্রমাণ তিনি পেশ করতে পারেননি। গুরুতর অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। সঙ্গে বলিষ্ঠ প্রতিবাদও জানিয়েছে। আগেই কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে নিজেদের কড়া অবস্থান জানিয়ে দেয় ভারত। তবে তার আগে, এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল কানাডাও। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দুই দেশের নাগরিকদের একে অপরের দেশে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। শুধু তাই নয়। সংঘাতের আবহে কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবাও বন্ধ করে দেয় ভারত। অনলাইন ভিসা আবেদন সংস্থা BLS ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, পরিচালনা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে আপাতত ভিসা পরিষেবা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নোটিস না আসা পর্যন্ত এই অবস্থাই বজায় থাকার কথা। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক যখন এমন অবস্থায়, তার মধ্যে কানাডার উপসেনাপ্রধানের এই দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে এমন বার্তা অন্য গুরুত্ব পাচ্ছে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের।

(Feed Source: abplive.com)