মঙ্গলবার নিউইয়র্কে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনে বক্তৃতা, জয়শঙ্কর কানাডায় সংগঠিত অপরাধ, বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি, সহিংসতা এবং চরমপন্থার সাথে সম্পর্কিত বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তিনি রাজনৈতিক কারণে কানাডার এই ধরনের কার্যকলাপ সহ্য করার আপাত ইচ্ছার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এস জয়শঙ্কর একথা জানিয়েছেন

বিতর্ক আরও খারাপ হয়ে যায় যখন একজন আমেরিকান কূটনীতিক অভিযোগ করেন যে “ফাইভ আইজ অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করা বুদ্ধিমত্তা ছিল”, যার ফলে ট্রুডো এই হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। জয়শঙ্কর এই বিষয়ে একজন প্রতিবেদকের প্রশ্নকে বিভ্রান্ত করে বলেছেন, “আমি দ্য ফাইভ আইসের অংশ নই, আমি অবশ্যই FBI-এর অংশ নই। তাই আমি মনে করি আপনি ভুল ব্যক্তিকে ভুল প্রশ্ন করছেন।”

আমেরিকাও ভারতকে সমর্থন করেছিল

এটি উল্লেখযোগ্য যে হোয়াইট হাউসও ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার অভিযোগকে ভুল বলে অভিহিত করেছিল। মাত্র কয়েক দিন আগে, হোয়াইট হাউস বলেছিল যে কানাডার মাটিতে একটি শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার সাথে নয়াদিল্লি সম্ভবত জড়িত ছিল বলে কানাডার অভিযোগের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সাথে যোগাযোগ করছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও কানাডা সরকারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছে।

ভারত এই অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে

এই বছরের 18 জুন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং কানাডিয়ান নাগরিক হরদীপ সিং নিজার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের ‘সম্ভাব্য’ জড়িত থাকার অভিযোগের পর ভারত ও কানাডার মধ্যে একটি কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। যাইহোক, ভারত অভিযোগগুলিকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘প্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এই বিষয়ে অটোয়াতে একজন ভারতীয় কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করার প্রতিশোধ হিসেবে কানাডার একজন সিনিয়র কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

(Feed Source: ndtv.com)