মানুষ কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিল গণনার সুবিধার জন্য, এখন মানুষের দ্বারা উদ্ভাবন করা নতুন টেকনোলজির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আরও দক্ষ হয়ে উঠছে কম্পিউটার। বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেরকমই একটা প্রযু্ক্তি যা নির্ভুল ভাবে মানুষের মত কাজে দক্ষ হয়ে উঠছে প্রতিদিন। ভারত সহ সারা বিশ্বে এআই ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে খুব দ্রুত।
এ আই ব্যবহার করে খুব সহজেই নির্ভুল ভাবে করা যায় অনেক জটিল কাজ। তবে এ আই এর ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর সংখ্যক চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। দেশের অন্যতম আইটি কোম্পানি টেক মাহিন্দ্রার সিইও সিপি গুরনানি বলছেন, এ আই-এর কারণে আইটি বিভাগের এক-তৃতীয়াংশ চাকরি চলে যেতে পারে। তবে, তিনি আরও বলেছিলেন যে এ আই-এর জন্য চাকরি যেমন যাবে ঠিক তেমনই নতুন ধরণের চাকরি তৈরিও হবে। তিনি বলেন, যে এ আইকে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তে প্রয়োগকৃত বুদ্ধিমত্তা হিসাবে ডাকতে পছন্দ করেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাথে একটি সাক্ষাৎকারে গুরনানি বলেছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে কল সেন্টার এবং সফ্টওয়্যার পরীক্ষার পরিসরে যে পরিমাণ চাকরি বাজারে রয়েছে তার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ চাকরি হারিয়ে যাবে৷ তিনি উপদেশ দিয়ে বলেন যে, বর্তমান যুগের টেকনোলজির সঙ্গে নিজেকে প্রাসঙ্গিক না রাখতে পারলে কঠিন সংকটের মধ্যে পড়বে যুব সমাজ।
ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রধান কর্মকর্তা গোল্ডম্যান স্যাক্সের একটি প্রতিবেদনে বলেন যে, বিশ্বব্যাপী ৩০০ মিলিয়ন চাকরি এ আই-এর জন্য কমে যাবে। তিনি আরও বলেন একই সময়ে, এ আই-এর জন্য নতুন ধরনের চাকরি তৈরি হবে। তিনি বলেন যেহেতু এ আই মানুষের মতোই বিষয়বস্তু তৈরি করতে পারে, সেহেতু বিশ্বের বিভিন্ন সরকার এ আই-এর ওপর বিনিয়োগ করতে মুখিয়ে রয়েছে, এতে দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়বে এবং অর্থনীতির উন্নতি ঘটবে।
তবে ভারত সরকার এই আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছে। ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন যে, কমপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য এ আই থেকে চাকরির হারিয়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। তিনি বলেন যে, এ আই গত কয়েক বছরে এক কোটিরও বেশি চাকরি তৈরি করেছে। রাজীব চন্দ্রশেখর আরও বলেন বেশিরভাগ কাজের জন্য যুক্তি এবং সাধারণ জ্ঞানের প্রয়োজন হয় এবং এই মুহূর্তে এ আই সেই কাজটি করতে সক্ষম নয়।
(Feed Source: hindustantimes.com)