জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছেই। দিনদশেকের মেঘের পরে আবার রোদ উঠছে। খলিস্তানি হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের জন্য কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতকে নিশানা করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো স্বয়ং। এর জেরে ভারতও কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়। দুদেশের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ছিল। তবে দেড় সপ্তাহ যেতে না যেতেই সুর নরম করে জাস্টিন ট্রুডো ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথাও বললেন।
শুক্রবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন– বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে উঠে আসছে ভারত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত এখন উদীয়মান শক্তি। কানাডা চায় ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও নিবিড় হোক। কয়েকদিনের তিক্তসম্পর্কের প্রেক্ষিতে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কানাডার এই সুরবদল।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ভারতে এসে রাজকীয় আতিথ্যের উষ্ণতা উপভোগ করে গিয়েছেন ট্রুডো। কিন্তু এর ঠিক পরেই ভারত-কানাডা সম্পর্কে অবনতি ঘটে। গত কয়েক দিনে সেই অবনতি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এমনকি রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন ট্রুডো ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনও জবাব পর্যন্ত দেননি।
চলতি বছরের জুনে শিখনেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত– সরাসরি এমন অভিযোগ এনেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। জুনে কানাডার মাটিতে খুন হন নিজ্জর। ট্রুডোর দাবি, তাঁর সরকারের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের এজেন্টরাই যুক্ত। এর পর থেকেই ভারত-কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
কানাডা ভারতের এক কূটনীতিককে কানাডা থেকে বহিষ্কারও করে। পাল্টা জবাবে ভারতও দিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। এর পরে কানাডার নাগরিকদের জন্য ভিসা দেওয়া বন্ধ করার কথা ঘোষণা করে ভারত। ফের বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত কানাডিয়ানদের জন্য ভিসা পরিষেবা বন্ধ রাখার কথাই জানানো হয়েছে ভারতের তরফে।
(Feed Source: zeenews.com)