বিভাগগুলিকে বললেও ডেঙ্গি নিয়ে উত্তর পাননি, বিস্ফোরক যাদবপুরের উপাচার্য

বিভাগগুলিকে বললেও ডেঙ্গি নিয়ে উত্তর পাননি, বিস্ফোরক যাদবপুরের উপাচার্য

কলকাতা: আবারও বিস্ফোরক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এবার বিভাগগুলির ভূমিকা ও কর্তব্য নিয়েই প্রশ্ন তুললেন খোদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ‘‘আমরা বিভাগগুলোর মতামত নিতে চেয়েছিলাম৷ জানতে চেয়েছিলাম, ডেঙ্গি আক্রান্ত পড়ুয়াদের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা যেতে পারে? একাধিক বিভাগ এখনও তাদের মতামত জানায়নি। বিভাগগুলি মতামত জানালে আমরা পদক্ষেপ করতে পারতাম। সব কিছু বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর চাপিয়ে দিলে হয়? ১৩ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় নোংরা পরিষ্কার হয়নি। সেটা ১৩ দিনে করা সম্ভব? আমাকে ১৩ মাস সময় দিন আমি করে দেব’’, বললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।

তিনি আরও বললেন, ‘‘আমরা চাইছিলাম ডিপার্টমেন্টগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে জানাতে হবে। আশা করি ছাত্রদের কনসার্নটা তাঁরাও বুঝবেন। ডিপার্টমেন্টগুলো যদি দেরিতে জানান তাহলে আবার ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে। এইভাবে কেউ বলে দিল ইউনিভার্সিটি যেটা মনে করবে সেটাই করুক তাহলে তো আমার কাছে ডিপার্টমেন্টগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তারাও যদি এটাই বলে দেয় ডেঙ্গি হয় হোক, ক্লাস চলুক। সেটাও তো কনক্লুসিভ ভাবে বলতে হবে।’’

বুদ্ধদেব সাউ এ দিন ক্ষোভের সুরেই বলেন, ‘‘ইসি মিটিংয়ে যা হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক। আমরা তো একটা কনস্ট্রাক্টিভ আলোচনা চেয়েছিলাম। র‍্যাগিং, অ্যান্টি র‍্যাগিং নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম। কিন্তু এত ডেপুটেশন আলোচনা হবে কী করে? দেখলেন তো সেইসব নিয়ে আলোচনা করতে রাত ২.৩০টে হয়ে গেল। কোনও আলোচনায় তো হল না।’’ ইসি মিটিং নিয়ে কার্যত অসহায়তা প্রকাশ করে বললেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য।

(Feed Source: news18.com)