‘নিজের মৃূত্রের মধ্যেই থাকতে হত, UK-র হসপিটালে শিখ রোগীকে অত্যাচার নার্সদের’

‘নিজের মৃূত্রের মধ্যেই থাকতে হত, UK-র হসপিটালে শিখ রোগীকে অত্যাচার নার্সদের’

প্লাস্টিকের গ্লাভস দিয়ে শিখ ব্যক্তির দাড়ি বেঁধে রেখেছিলেন নার্সরা। ওই ব্যক্তিকে নিজের মূত্রের মধ্যেই থাকতে বাধ্য করেছিলেন। তাঁকে এমন খাবার দিয়েছিলেন যেটা ধর্মীয় কারণে খেতেন না ওই রোগী। ব্রিটেনের হাসপাতালে এমনই ঘটনা ঘটেছে বলে একটি রিপোর্টে জানানো হল। ব্রিটেনের নার্সিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে ফাঁস হয়ে যাওয়া নথির মাধ্যমে সেই ঘটনা সামনে এসেছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটেনের নার্সিং নিয়ন্ত্রক সংস্থায় বর্ণবিদ্বেষের বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেছে। রন্ধ্রে-রন্ধ্রে বর্ণবিদ্বেষী মনোভাব তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, শিখ ব্যক্তির অভিযোগের পরও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্ত নার্সরা। তাঁদের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনাটি ছাড়াও আরও একাধিক বর্ণবিদ্বেষের ঘটনা ঘটেছে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্লাস্টিক গ্লাভসে শিখ দাড়ি বেঁধে রাখা, নিজের মূত্রের মধ্যেই রেখে দেওয়া এবং ধর্মীয় কারণে যে খাবার খেতে পারেন না, সেই খাবার খেতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নার্সদের বিরুদ্ধে। ওই শিখ ব্যক্তির ডাকে সাড়া দিতেন না নার্সরা। তার ফলে নিজের জায়গা প্রস্রাব করে ফেলতেন ওই ব্যক্তি। সেই অবস্থায় তাঁকে থাকতে হত। অথচ তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন নার্সরা। মৃত্যুশয্যায় সেই বৈষম্যের অভিযোগ করেছিলেন ওই শিখ ব্যক্তি। কিন্তু তারপরও নার্সদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, শিখ ব্যক্তিকে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল, সেই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং বিষয়টি ‘ক্লোজ’ দিয়েছিল ব্রিটেনের নার্সিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সূত্রের খবর, যাঁরা তদন্ত চালানো হবে কিনা, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা ওই শিখ ব্যক্তির অভিযোগে কোনও গুরুত্বই দেননি। যে বার্তা পঞ্জাবিতে লিখে গিয়েছিলেন ওই শিখ ব্যক্তি। তবে ওই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট আসার পরে নড়েচড়ে বসেছে ব্রিটেনের নার্সিং নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

কীভাবে ওই বিষয়টি সামনে এল? ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটেনের নার্সিং নিয়ন্ত্রক সংস্থার ফাঁস হয়ে যাওয়া নথি থেকে সেই তথ্য সামানে এসেছে। ব্রিটেনের নার্সিং নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক বর্ষীয়ান সদস্য দাবি করেছেন যে ১৫ বছর ধরে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবিদ্বেষ রুখতে ব্যর্থ হয়েছে সংস্থা।

(Feed Source: hindustantimes.com)