মাত্র তিন ঘণ্টা ঘুমিয়েছি, এবার ডিএসপি-র চাকরি পাব- ইতিহাস লিখে অকপট ইউপি-র পারুল

মাত্র তিন ঘণ্টা ঘুমিয়েছি, এবার ডিএসপি-র চাকরি পাব- ইতিহাস লিখে অকপট ইউপি-র পারুল

সোমবার এশিয়ান গেমসে রুপকথার এক মহাকাব্য লিখে ফেললেন পারুল চৌধুরি। মহিলাদের ৫০০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতে ইতিহাস তৈরি করলেন পারুল। এশিয়ান গেমসের মহিলাদের ৫,০০০ মিটার দৌড়ে এটাই ভারতের প্রথম সোনা। আর যে পারুলের হাত ধরে সেই সোনা এল, সেই পারুল সোমবারই ৩,০০০ মিটার স্টিপলচেজে রুপো এনে দিয়েছেন দেশকে।

ফাইনালে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী লাগছিল পারুলকে। শুরু থেকেই প্রথম তিন দৌড়বিদের মধ্যে জায়গা করে নেন তিনি। শুরুতে সবাই নিজেদের দম ধরে এগোচ্ছিলেন। শুরুতেই কেউ বড় ব্যবধান করেননি। যত প্রতিযোগিতা এগোতে লাগল, তত দূরত্ব বাড়তে লাগল প্রতিযোগীদের মধ্যে। পারুল কখনওই একেবারেই পিছিয়ে পড়েননি। বরং নিজের গতিতে স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী তিনি দৌড়াচ্ছিলেন।

৩০০০ মিটার অতিক্রম করার পরেই প্রতিযোগীদের মধ্যে তিন জন বাকিদের থেকে অনেকটা এগিয়ে যান। সেই তালিকায় ছিলেন, পারুল। এক নম্বরে দৌড়চ্ছিলেন জাপানের রিরিকা হিরোনাকা। শেষ ল্যাপে দেখে মনে হচ্ছিল, রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে পারুলকে। তবে শেষ ৫০ মিটারে পারুল ইতিহাস বদলে দেন। গতি বাড়িয়ে রিরিকা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে টপকে যান। এক নম্বরে প্রতিযোগিতা শেষ করে দেশকে সোনার হাসি হাসালেন পারুল।

সোমবার ৩০০০ মিটার দৌড়ের ফাইনালে নেমেছিলেন পারুল। সেখানে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে রুপো পান তিনি। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে খুব একটা খুশি দেখাচ্ছিল না তাঁকে। আসলে সোনা জিততে চাইছিলেন তিনি। সোমবারের দুঃখ মঙ্গলবার ভোলালেন পারুল। জিতলেন সোনা। স্টিপলচেজে সোনার হাতছাড়া করার আক্ষেপ মেটানোর পরে উচ্ছ্বসিত উত্তরপ্রদেশের তনয়া বলেছেন, ‘আমার দারুণ লাগছে।উত্তরপ্রদেশের নীতি হল, আপনি যদি সোনার পদক না পান, আপনি সরাসরি ডিএসপি পদে [ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ] চাকরি পাবেন না। এটা আমার মাথায় ছিল। এবং গতকাল (সোমবার) রাতে আমি মায়ের সঙ্গে এই বিষয়ে কথাও বলি। বর্তমানে, আমি রেলওয়েতে টিকিট পরীক্ষক হিসাবে কাজ করছি। তবে এই সোনা জয়ের পর আশা করি, আমি ডিএসপি পদ পাব।’

পারুল আরও বলেন, ‘আমি [৩০০০ মিটার] স্টিপলচেজে সোনা মিস করেছিলাম। আফসোস ছিল। তাই এই রেসে সোনা জয়ের পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। আমি গতকালের (সোমবার) রেসের পরে মাত্র তিন ঘন্টা ঘুমিয়েছি। কারণ শুধুই ৫০০ মিটার রেসের কথা ভেবেছি। আমাকে সব ভাবে সমর্থনের জন্য আমি এএফআই [অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া] এবং সাইকে [স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া] ধন্যবাদ জানাই।’

(Feed Source: hindustantimes.com)