বাঁকুড়া: পথের কাঁটাকে সরাতে নিজের দেওরকে পুর্ব মেদিনীপুরে নিয়ে গিয়ে প্রেমিকের সহায়তায় খুনের অভিযোগ উঠল মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনার ৪০ দিন পর সারেঙ্গার মাকড়কোল গ্রামের এই ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করে খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করলে আদালত দু’জনকেই সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকবছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে সারেঙ্গার মাকড়কোল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন গোলাপী প্রতিহার। পরিবারে একমাত্র পুরুষ হিসাবে ছিলেন দেওর অসিত প্রতিহার। সম্প্রতি দু’জনের বনিবনা হচ্ছিল না।
এরই মাঝে পেশায় কীর্তন শিল্পী পুর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার খঞ্চির বাসিন্দা গোপালচন্দ্র জানার সঙ্গে গোলাপীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপরই গোপাল ও গোলাপী দু’জনে মিলে নিজেদের সম্পর্কের পথের কাঁটা হয়ে থাকা অসিতকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বসে।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী গোপাল, গোলাপী ও অসিতকে নিমন্ত্রণ করে আগষ্টের ৬ তারিখে নন্দকুমারের বাড়িতে ডেকে পাঠায়। গোলাপী দেওরকে নিয়ে ৬ আগষ্ট নন্দকুমারে গোপালের বাড়িতে হাজির হয়। পরের দিন সেখানেই অসিতকে মদ খাইয়ে জলে ডুবিয়ে হত্যা করে গোলাপী ও গোপাল। পরে গোলাপী একা সারেঙ্গায় ফিরে এলে পরিবারের অন্যান্যদের সন্দেহ হয়।
অসিত নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৪০ দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর অসিতের পরিবার সারেঙ্গা থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্তে নামে। এরপরই গোলাপী ও গোপালকে নিজের নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর পুলিশের জেরার মুখে দু’জনই অসিতকে জলে ডুবিয়ে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত ওই যুগলকে আদালতে পেশের পর তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাবে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে অসিতের পরিবার।
(Feed Source: news18.com)