Iran Hijab Row: হিজাব না পরায় মেট্রো রেলে পুলিসের মার! আইসিইউতে ভর্তি কোমাচ্ছন্ন ইরানি কিশোরী

Iran Hijab Row: হিজাব না পরায় মেট্রো রেলে পুলিসের মার! আইসিইউতে ভর্তি কোমাচ্ছন্ন ইরানি কিশোরী

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরও এক মাশা আমিনি? হিজাব পরা নিয়ে বিতর্কের জেরে মারধর। তার ফলেই ইরানের এক কিশোরী এখন কোমায়। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছেন সেদেশের ২ হিজাব বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী। তাদের দাবি পুলিসের মারে ওই কিশোরীর অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।

আরমিতা গেরাভান্দে(১৬) নামে ওই কিশোরী এখন মনে করিয়ে দিচ্ছে মাশা আমিনিকে। হিজাব না পরায় মাশাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। পুলিসের মারধরেই হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর জেরে দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয় এক মাস ধরে।  আরমিতা গেরাভান্দে জন্মসূত্রে একজন কুর্দি। কুর্দি সংবাদমাধ্য়মে হেনগাও-র খবর অনুযায়ী তেহরান মেট্রোয় আরমিতাকে মারধর করে ইরানের মরাল পুলিস। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু তার পরিবারের উপরে সরকার এমন চাপ সৃষ্টি করেছে যে তার খবর বাইরে বলতে পারেছে না তার পরিবার। তবে সংবাদমাধ্যমে তার বাবা-মা জানিয়েছেন, মেয়ের কী হয়েছে আমরা জানি না। ওরা বলেছে মেয়ে অ়জ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিল।

এদিকে, সরকারে তরফে আরমিতার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তিগ্রাহ্য কিছু বলা হচ্ছে না। তবে ইরানের ইরান-কুর্দি মানবাধিকার সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, আরমিতার উপরে আমরা নজর রাখছি। আইসিইতে বর্তমানে ভর্তি রাখা হয়েছে আরমিতাকে।  সে এখন কোমায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, হাসপাতালে সাদা পোশাকে প্রচুর পুলিসে তাদের উপরে নজর রেখে চলেছে। সোশ্য়াল মিডিয়া বা অন্যান্য জায়গায় যা ছবি না বের হয় তার জন্য পরিবারের উপরে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে পুলিস।

এদিকে, ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম ইরান-য় একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মাথায় হিজাব না পরে তেহরান মেট্রোয় ট্রেনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আরমিতা। তার সঙ্গে রয়েছে তার দুই বন্ধু। দেখা যাচ্ছে এদের একজন ট্রেনের কামরায় ঢুকেও ছিটকে বেরিয়ে আসেন। ভেতরে কী হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। ট্রেন কোম্পানির তরফে বলা হয়েছে মেট্রোক কর্মীদের সঙ্গে ওই কিশোরীর ঝগড়া বা ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন নেই। তাই কোনও গন্ডগোল হয়েছিল এমনটা প্রমাণ করা যায়নি।

(Feed Source: zeenews.com)