যদিও কলকাতা রাজভবনের বাইরে ধর্না-অবস্থানের মঞ্চ থেকে ফের একবার রাজ্যপালকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজ্যপালকে জমিদার কটাক্ষ করার পরে জানিয়েছেন, ‘ওঁকে আমার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতেই হবে। সব চিঠি এসে পৌঁছাক। ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে দেখা করতে যাব। ওঁকে সেগুলো পড়ে দেখতে হবে।’
দিল্লি সফরের মাঝে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখে ফের রাজধানীতে ফিরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। শনিবার দিল্লি থেকে ফিরে তাঁর ফের উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা। জানা যাচ্ছে, দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে সেখান থেকে যাবেন দার্জিলিংয়ের রাজভবনে (Darjeeling Raj Bahavan)। সেখানেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলেই জানা গিয়েছে। যে জন্য দার্জিলিং যাচ্ছেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, প্রদীপ মজুমদার।
তৃণমূলের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে দার্জিলিংয়ে যাচ্ছে জানিয়েও অভিষেকের কটাক্ষ, জমিদারকে আসতেই হচ্ছে। তারপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হুঁশিয়ারি, আপনার জন্য আমি অপেক্ষায় থাকব। আগেই অভিষেক জানিয়েছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত রাজভবনের সামনেই ধর্না-অবস্থান চালিয়ে যাবেন তিনি। তা সে যত দিনই হোক।
রাতভর ধর্নামঞ্চে অবস্থান চালানোর পাশাপাশি অভিষেকের বক্তব্য, ‘আপনি ৩ দিন থাকতে পারতেন, এসেই ফিরে গেলেন, রাজভবন খালি, আমরা সৌজন্য দেখিয়েছি, কিন্তু রাজ্যপালের (Governor) এই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে। দিল্লিতে যা হয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা, এর জবাব দেবে মানুষ’। যদিও দিল্লি থেকেই যাঁর পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। রাজ্যপালের খোঁচা, ‘জমির কাছে যাওয়া মানেই জমিদারি নয়, অট্টালিকা থেকে কৃষকদের নিয়ন্ত্রণ করাটাই এখন নব্য জমিদারি, গ্রামে যাওয়াকে বাংলায় বলে তৃণমূলস্তর, তাহলে কী তৃণমূল এটা চায় না ? তাহলে কি ভয় পাচ্ছে তৃণমূল ? তাহলে কি হারানোর মুখে জমিদারি ?’
(Feed Source: abplive.com)