ফেসবুকে আলাপে প্রেম, পথের কাঁটা সরাতে স্বামীকে সেতু থেকে নদীতে ধাক্কা স্ত্রীর

ফেসবুকে আলাপে প্রেম, পথের কাঁটা সরাতে স্বামীকে সেতু থেকে নদীতে ধাক্কা স্ত্রীর

বিশ্বজিৎ মিশ্র, নকশালবাড়ি: গত মঙ্গলবার শিলিগুড়ির নকশালবাড়িতে নদী থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক ব্যক্তির অর্ধনগ্ন দেহ। সেই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী এবং তার প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ অভিযোগ, প্রেমিকের সঙ্গে মিলে সাগর নাগাসিয়া নামে ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল তার স্ত্রী৷ যার ফলে নদীতে ডুবে মৃত্যু হয় সাগর নাগাসিয়া নামে বছর তিরিশের ওই যুবক৷

পুলিশ সূত্রে খবর, নকশালবাড়ির বেলগাছি চা বাগান সংলগ্ন কদমা এলাকার বাসিন্দা সাগর নাগাসিয়া নামে ওই যুবকের সঙ্গে বছর আটেক আগে বিয়ে হয়েছিল জয়ন্তী নামে এক তরুণীর৷ তাদের একটি শিশু সন্তানও রয়েছে৷ কিন্তু বছর দুয়েক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে জয়ন্তীর সঙ্গে আলাপ হয় বিষ্ণু মাহাত নামে এক যুবকের। ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হয় তারা। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে জয়ন্তী ও বিষ্ণু।

স্ত্রীর এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যায় সাগর। এই নিয়ে প্রায়শই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি হত। গত সোমবারও স্ত্রীর সঙ্গে বচসার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সাগর। অভিযোগ, তখনই প্রেমিক িবষ্ণুকে ডেকে স্থানীয় একটি সেতুর উপর থেকে রাতের অন্ধকারে নিজের স্বামীকে ধাক্কা মেের ফেলে দেয় জয়ন্তী। বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠা চ্যাংদা নদীতে ডুবে মৃৃত্যু হয় সাগরের। পরের দিন সকাল তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

প্রথমে সাগরের পরিবারের সদস্যরাও ভেবেছিলেন, কোনওভাবে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে সাগরের। কিন্তু পুলিশি তদন্তে বিষ্ণু মাহাত নামে অন্য এক যুবকের নাম উঠে আসে। ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তার সঙ্গে মৃতের স্ত্রীর সম্পর্করে কথা জানতে পারে পুলিশ৷ এর পর জয়ন্তী নামে মৃতের স্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নিজের স্বামীকে হত্যা কথা স্বীকার করে নেয় জয়ন্তী। এর পরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ধৃতদের আজ শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে খুনের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে চায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে। ঘটনায় ধৃতদের ফাঁসির দাবি জানায় মৃতের পরিবার।

(Feed Source: news18.com)