কলেজ সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত একটি মামলায় কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৩০ মিনিটের মধ্যে সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবীর ভূমিকায় বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, কলেজ সার্ভিস কমিশনের যে মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, সেই মামলায় জরুরি ভিত্তিতে শুনানির প্রয়োজনীয়তা ছিল না বলে জানানো হয়েছিল। তারপরও ইচ্ছাকৃতভাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী।
বিষয়টি ঠিক কী হয়েছিল?
২০২০ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন এক চাকরিপ্রার্থী। বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে সেই মামলা চলছিল। সম্প্রতি দু’সপ্তাহের জন্য সার্কিট বেঞ্চে যান বিচারপতি চন্দ। তাঁর হাতে যে মামলাগুলি ছিল, সেগুলি অস্থায়ীভাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে আসে। সেক্ষেত্রে একমাত্র যে মামলাগুলির জরুরি ভিত্তিতে শুনানির প্রয়োজন, সেগুলি নিয়েই অন্য বেঞ্চের দ্বারস্থ হওয়া যায়।
আর সেই বিষয়টা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারী আইনজীবীর ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, বিচারপতি চন্দ যখন বলেছিলেন যে এই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির প্রয়োজন নেই, তাহলে কেন দ্রুত শুনানির জন্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন মামলাকারীর আইনজীবী? এত তাড়াহুড়োর কী ছিল? মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো কিছু হয়েছিল নাকি? দু’সপ্তাহ তো ছিলেন না বিচারপতি চন্দ।
সেইসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দেয় হইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় কমিশন)। কী নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? শুক্রবার কলেজ সার্ভিস মামলার শুনানির সময় এক ঘণ্টার মধ্যে প্যানেল আনার নির্দেশ দেন। ‘ডেডলাইন’ পেরিয়ে গেলেও সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি। তারপর কমিশনকে আরও কিছুটা সময় দেন বিচারপতি। কিন্তু সেই ‘ডেডলাইন’ পালন করা হয়নি। তারপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন যে রাত ৮ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক করকে হাইকোর্টে হাজিরা দিতে হবে।
পরবর্তীতে সেই নির্দেশ খারিজ হওয়ার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মতো কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা শুনছেন না তিনি। তাঁর কাছে মামলাটি এসেছিল বলে শুনেছিলেন।
(Feed Source: hindustantimes.com)