প্রথমবার মহাকাশে পাক নারী, তবে নেহাতই পর্যটক হিসেবে! দিতে হল কত টাকা

প্রথমবার মহাকাশে পাক নারী, তবে নেহাতই পর্যটক হিসেবে! দিতে হল কত টাকা

প্রথমবার মহাকাশে পাড়ি দিলেন এক পাকিস্তানি নাগরিক। তবে নভোচারী হিসাবে মহাকাশে গেলেন না। গেলেন একজন পর্যটক হিসেবে। যে সে পর্যটক নন, মহাকাশ‌ পর্যটক তিনি। ধনকুবের রিচার্ড ব্রানসনের সংস্থা ভার্জিন গ্যালাকটিকের স্পেসশিপ করে মহাশূন্যে বেড়াতে গেলেন তিনি।

২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর পঞ্চমবার মহাকাশ পর্যটনে যাবে ‘গ্যালাকটিক ০৪’ নামের নভোযান। এর আগের যাত্রাতেও সফল হয়েছিল এই যান। এবার স্পেসশিপটিতে ছিলেন মোট তিনজন যাত্রী। তাদের মধ্যে একজন হলেন পাকিস্তানের নাগরিক। ধনকুবের ব্রানসনের সংস্থা তাঁর নাম জানিয়েছে। মহাকাশ পর্যটনে যাওয়া পাকিস্তানি নারীর নাম নামিরা সেলিম। তার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে।

২০০৬ সালে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন স্বয়ং ব্রানসন। ওই ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মহাকাশ পর্যটনের জন্য প্রথমদিকে বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণ নেন। নামিরা সেলিম তাদের মধ্যে অন্যতম। এই প্রশিক্ষণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিশেষ সেন্টারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ২০০৭ সালে মহাকাশচারীর বিশেষ ট্রেনিং নেন নামিরা। বর্তমানে অবশ্য তিনি পাকিস্তানে থাকেন না।  দুবাইতেই তার নিবাস‌। সেখানে স্পেস ট্রাস্ট নামের একটি অলাভজনক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারপার্সন তিনি। ২০১৫-এ শুরু হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানের পথচলা।

চলতি বছরের অগস্ট থেকে মহাকাশ পর্যটন শুরু করেছে ধনকুবের ব্রানসনের সংস্থা ‘ভার্জিন গ্যালাকটিক’। প্রতিটি ট্রিপে মোট তিনজনকে মহাশূন্যে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে ব্রানসনের সংস্থার মহাকাশয়ান। এই পর্যটনের জন্য মাথা পিছু সাড়ে চার লাখ মার্কিন ডলার নিচ্ছে ‘ভার্জিন গ্যালাকটিক’। এর আগের ট্রিপগুলিও একের পর এক সফল হয়েছে। এক মা মেয়ে জুটিকে সফল ভাবে মহাকাশ দেখিয়ে নিয়ে এসেছে এই মহাকাশ পর্যটন সংস্থা‌। এবার সেই মহাকাশই দেখে ফিরল পাকিস্তানের নাগরিক নামিরা সেলিম। গ্যালাকটিক ৪ মিশন মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় আন্তর্জাতিক সময় অনুযায়ী দুপুর ১৫টা বেজে ২৮ মিনিটে। এর পর ১২:১০ নাগাদ মেক্সিকো বরাবর মহাকাশে পৌঁছায় এই যান। ৪৪,৩৪১ ফুট উপরে মহাকাশ ভ্রমণের সেটি আবার ফিরে আসে।

(Feed Source: hindustantimes.com)