বাংলায় ফাঁকা পড়ে মেডিক্যালে স্নাতোকত্তরের বেশ কিছু আসন, কার ভাগ্যে জুটল সেগুলি

বাংলায় ফাঁকা পড়ে মেডিক্যালে স্নাতোকত্তরের বেশ কিছু আসন, কার ভাগ্যে জুটল সেগুলি

পশ্চিমবঙ্গে স্নাতোকত্তর স্তরে মেডিক্যালে ভরতির জন্য যেসব আসন ফাঁকা পড়ে ছিল, সেগুলি কাকে কাকে দেওয়া হল, সেই তালিকা প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিটি। যারা যারা এই ফাঁকা আসনে সুযোগ পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁরা wbmcc.nic.in – এই লিঙ্কে গিয়ে দেখতে পারেন যে মেডিক্যালের স্নাতোকত্তর স্তরে পড়াশোনার সুযোগ মিলল কি না। এদিকে ফল প্রকাশের পর কলেজে ভরতি প্রক্রিয়া শুরু হবে ৯ অক্টোবর। ১০ অক্টোবরও ভরতি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গিয়েছে।কীভাবে দেখা যাবে ফলাফল?

> পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিটির অফিসিয়াল সাইট wbmcc.nic.in-এ যান।

> হোম পেজে উপলব্ধ ‘WB NEET PG 2023’ আসন বরাদ্দ ফলাফলের লিঙ্কে ক্লিক করুন।

> একটি নতুন পেজ খুলবে। সেখানে প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় ক্রেডেনশিয়াল দিতে হবে।

> এরবর ‘সাবমিট’ বোতামে ক্লিক করুন এবং আসন বরাদ্দের ফলাফলের স্ক্রিনে খুলে যাবে।

> আসন বরাদ্দের ফলাফল দেখুন এবং পেজটি ডাউনলোড করুন। প্রয়োজনে সেই পেজের প্রিন্টআউট বের করে রাখুন।

প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে মেডিক্যালের আসনের আকাল। স্নাতকোত্তর স্তরে সুযোগ পাওয়া আরও কঠিন। তবে দেশে বেশ কিছু বিষয়ে স্নাতোকত্তর স্তরে পড়শোনার জন্য নিট পিজি-তে জিরো পার্সেন্টাইল পেলেও সুযোগ মিলবে বলে জানিয়েছিল সরকার। বিগত তিন বছর ধরে কিছু কিছু বিষয়ে পড়ুয়াদের ভরতির হার তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলেই এই পদক্ষেপ। জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক সায়েন্স, মেডিসিন এবং ফার্মাসের মতো বিষয়ে স্নাতোকত্তর স্তরে ভরতির হার খুবই কম। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিংয়ের পর সারা দেশে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতোকত্তর স্তরে ফাঁকা রয়েছে ১৩ হাজার আসন। ২০২১ সালে দ্বিতীয় রাউন্ড কাউন্সেলিংয়ের পর সরকারি কলেজগুলিতে পিজি স্তরের ১৪৭টি আসন ফাঁকা ছিল। এদিকে প্রাইভেট কলেজগুলিতে বাকি ছিল ৪৯টি আসন। এদিকে ২০২২ সালে সরকারি এবং প্রাইভেট কলেজ মিলিয়ে সেই সংখ্যাটা ছিল ২৩৮। আর এবছর এই সংখ্যা অনেক বেশি।

এই আবহে শিক্ষা মন্ত্রক বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতোকত্তর স্তরে ভরতির কাটঅফ ৫০ পার্সেন্টাইল রেখেছিল। অর্থাৎ, কোনও প্রার্থীর ব়্যাঙ্ক যদি পাশ করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম ৫০ শতাংশের মধ্যে থাকে, তাহলেই এই সব বিষয়ে ভরতি হওয়া যাবে। তবে গত সপ্তাহেই সেই কাটঅফ ৫০ থেকে শূন্য পার্সেন্টাইল করা হয়েছে। অর্থাৎ, নিট পিজি পরীক্ষায় পাশ করা পড়ুয়ারা চাইলেই ভরতি হতে পারবেন এই সব বিষয়ে। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? মেডিক্যাল পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞদের মতে, ফরেন্সিক বা ফার্মেসির মতো বিষয়ে স্নাতোকত্তর করা ডাক্তারদের নির্দিষ্ট বেতনের চাকরি করতে হয়। ‘বাজার দরে’ উপার্জন করতে পারেন না। এদিকে ডাক্তারি পড়াশোনায় অনেক খরচ হয়। বিশেষ করে যদি কেউ প্রাইভেট কলেজে পড়েন। এই আবহে এই সব বিষয়ে স্নাতোকত্তর করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন না পড়ুয়ারা। এই কারণেই এত সংখ্যক আসন ফাঁকা থেকে যাচ্ছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)