জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইজরায়েলের গলায় অন্য সুর। ভারতে ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলোঁ বলেছেন, ‘ইজরায়েল কখনও কাউকে বলেনি, এসো, আমার জন্য যুদ্ধ করো। এটা একেবারেই আমাদের নিজস্ব লড়াই। আমরা মোটেই চাই না, আমাদের লড়াইটা আমাদের হয়ে অন্য কেউ লড়ে দিক।’
রবিবার ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন মিলিয়ে প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হওয়ার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ। ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, রাশিয়াও এই হামলার নিন্দা করেছে। সরাসরি প্যালেস্টাইনি সেনার পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। ইরান পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে, প্যালেস্টাইন ও জেরুজালেমের এই লড়াইয়ে তারা প্যালেস্টাইনের পাশে রয়েছে! হয়তো এই প্রেক্ষিতেই ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলোঁ এই সব প্রসঙ্গের অবতারণা করেন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে, এটা সত্যি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের নানা ভাবে সাহায্য করছে। তবে এর কারণ আছে। আমরা আসলে ওই সব অস্ত্রশস্ত্রের যৌথনির্মাতা।…আমি সত্যিই চাই না, কেউ আমাদের উদ্ধার করতে আসুক। আমরাই আমাদের উদ্ধার করব। আর আমাদের সেই সামর্থ্য আছেও।’
ইজরায়েল-প্যালেস্টাইনের সংঘাত ক্রমশ বড় আকার ধারণ করছে। বাড়ছে যুদ্ধের বহর, বাড়ছে মৃত্যু, ক্ষয়ক্ষতিও। এর আশঙ্কা ছিলই। প্রাথমিক ভাবে হামাস ‘জঙ্গি’রাই হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলে। তাদের এই হামলাকে বর্বরোচিত বলে কঠোর নিন্দা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ।
গাজা উপত্যকা থেকে শনিবার ইজরায়েলের দিকে একের পর এক রকেট ছোড়া হয়েছিল। এর পাল্টা জবাব দিতে গাজায় বিমান-হামলা শুরু করে ইজরায়েলও। প্যালেস্টাইনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী এই ‘হামাস’ বলেছে, ইজরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে রকেট ছুঁড়েছে তারা। ইজরায়েলে দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের এলাকাগুলিতে সাইরেন বাজিয়ে স্থানীয়দের রকেট-হামলার জন্য আগাম সতর্ক করে দেওয়া হয়। বোমা থেকে বাঁচতে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলির কাছাকাছি থাকারই পরামর্শ দেওয়া হয়। রকেট হামলার সময় জেরুজালেমেও সাইরেন বাজানো হয়।
প্যালেস্টাইন-ইজরায়েলের মধ্যে বিবাদ বহু কালের। জেরুজালেম ও গাজা স্ট্রিপের দখলকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা বছরভর লেগেই থাকে। সম্প্রতি গাজা সীমান্ত দিয়ে প্যালেস্টাইনের শ্রমিকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় ইজরায়েল। তার পর থেকেই দুদেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা মাথা চাড়া দেয়। সেই আবহেই এই আচমকা হামলা।
(Feed Source: zeenews.com)