কামদুনি-মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল রাজ্যের

কামদুনি-মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল রাজ্যের
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : গণধর্ষণ, খুন, ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকা বিকৃত একটা শরীর, হাড়হিম করা ঘটনার স্মৃতি কামদুনিকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে বেরিয়েছে। আর এক দশক পর ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে, ২ দোষীকে ফাঁসির বদলে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ( Kamduni Case )।  কামদুনি-মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করল রাজ্য।

হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। ২০১৩ সালের কামদুনি গণধর্ষণ-খুনের মামলায় গত ৬ অক্টোবর রায় ঘোষণা করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। ওই দিনই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের কাছে মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও হাইকোর্টের নির্দেশের কপি পাঠানো হয় স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিলের জন্য।

শুক্রবার কামদুনিকাণ্ডে এই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।  আর তারপর থেকেই তদন্ত নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে কামদুনি। সিআইডি আর রাজ্য সরকারের গাফিলতিকেই দায়ী করছে নিহত নির্যাতিতার পরিবার। রায় ঘোষণার রাতেই কামদুনিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখেও পড়ে সিআইডি। শুক্রবার রায় ঘোষণার পরই সিআইডি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। এরপর রাতে মৌসুমী কয়ালের বাড়িতে গিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা কথা বলেন সিআইডি আধিকারিকরা। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে তাদের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেয় হতাশ পরিবার ও কামদুনির প্রতিবাদীরা।  ১০ বছরে কেন ১৪ বার আইনজীবী বদল হল, প্রশ্ন তুলেছে তারা। রায় ঘোষণার পর রাতে কামদুনিতে CID।
১০ বছর আগে কেন তৎপরতা দেখাল না CID, প্রশ্ন কামদুনির বাসিন্দাদের।

(Feed Source: abplive.com)