ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রকের মতে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)- এর সঙ্গে হামাস কাজ করছে অগস্ট মাস থেকে। জলভাগ, স্থলভাগ, এবং আকাশপথে অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা করছিল হামাস। এর আগে ১৯৭৩ সালে Yom Kippur যুদ্ধের সময় এই ধরনের অনুপ্রবেশ হয়েছিল। তারপর থেকে এবারের ঘটনাকেই ইজরায়েলের সীমান্তে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অনুপ্রবেশ বলা হচ্ছে। বেরুটে একাধিক বৈঠিক হয়েছে হামাস এবং ইরানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে। সেখানেই হামলার সমস্ত পরিকল্পনা করা হয়েছিল। IRGC- র আধিকারিকদের সঙ্গে ইরানের মদতপুষ্ট চারটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন যেখানে হামাস এবং হেজবুল্লাহ রয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরাও ছিল বেরুটের এই বৈঠকগুলিতে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সূত্রে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইজরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা যা মূলত প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে ঘিরেই তৈরি, তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এছাড়াও সৌদি আরব এবং ইজরায়েলের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান মধ্যস্থতাকে থামানোর জন্যেও এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে হামাস এবং হেজবুল্লাহ সংগঠনের বর্ষীয়ান সদস্যরা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এর উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ সৌদি আরব এবং ইজরায়েলের সম্পর্ক ভাল হওয়ার বিষয়টিকে সমস্যার নজরেই দেখেছে ইরান, বলা ভাল এই বিষয়টি তাদের কাছে একপ্রকার ভীতির কারণ।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপর আচমকাই হামলা শুরু করে হামাস। অতর্কিত আক্রমণে বিপর্যস্ত অবস্থা ইজরায়েলের। সূত্রের খবর, ৭০০-র বেশি ইজরায়েলি ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন যুদ্ধে। আহতের সংখ্যা সরকারি মতেই ২০০০ পার হয়েছে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষের ১৪০০ পেরিয়েছে মৃতের সংখ্যা। আহত এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।
(Feed Source: abplive.com)