জানেন কি কিডনি ফেলিওর কেন হয়? উপসর্গ নিয়ে সাবধান করে দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

জানেন কি কিডনি ফেলিওর কেন হয়? উপসর্গ নিয়ে সাবধান করে দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

কলকাতা: AKI- সংক্ষিপ্ত এই শব্দবন্ধের সঙ্গে পরিচিত নন অনেকেই। যদি বলা হয় Accute Kidney Injury, তাহলে ব্যাপারটা সামান্য হলেও বোধগম্য হতে পারে। একেই সাধারণ ভাবে বলা হয় কিডনি ফেলিওর, আংশিক অক্ষমতা থেকে কিডনি পূর্ণ ভাবে বিকল হয়ে যাওয়া, এর মধ্যেই ঘোরাফেরা করে এই জটিল শারীরিক লক্ষণের প্রভাব।

ডা. সুজিত চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে আমাদের বলছেন যে কিডনি কাজ করছে কি না, তা বোঝার জন্য আমাদের নানা ডায়গনস্টিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবে, এর কিছু উপসর্গ আছে। সঙ্গে আছে এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার নানা কারণ।

এমনটা সব সময় জরুরি নয় যে যাঁরা অসুস্থ, দীর্ঘ রোগভোগের পর তাঁদের কিডনির কর্মক্ষম আর রইল না। দেখে নেওয়া যাক শারীরিক এই অসুস্থতার মূলে কী কী কারণ উল্লেখ করেছেন ডা. চট্টোপাধ্যায়।

অ্যাকিউট কিডনি ইঞ্জুরির কারণ:

কিডনিতে রক্ত সঞ্চালন কমে আসা: লো ব্লাড প্রেশার, হার্ট ফেলিওর, এমনকী, ডিহাইড্রেশনের কারণেও এমনটা হতে পারে।

সরাসরি ভাবে কিডনি জখম হওয়া: কোনও সংক্রমণ, ওষুধের প্রভাব বা মেডিক্যাল ইমেজিংয়ে ব্যবহৃত কনট্রাস্ট ডাইয়ের কারণে সরাসরি ভাবে কিডনি জখম হতে পারে।

কিডনির অসুখ: Glomerulonephritis বা Interstitial Nephritis-এর মতো অসুখে কিডনির কর্মক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে।

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট অবস্ট্রাকশন: কিডনি স্টোন বা এনলার্জড প্রস্টেটের মতো বাধা কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে।

অ্যাকিউট কিডনি ইঞ্জুরির উপসর্গ:

ব্যক্তিভেদে এর উপসর্গ আলাদা হলেও অ্যাকিউট কিডনি ইঞ্জুরির কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. চট্টোপাধ্যায়। যেমন,

– কম মূত্রত্যাগ

– জল জমে পা, গোড়ালি বা মুখ ফুলে যাওয়া

– ক্লান্তি তথা দুর্বলতা

– বমি-বমি ভাব

– আচ্ছন্নতা

– খিদে কমে যাওয়া

– মনোযোগে সমস্যা

– নিশ্বাস নিতে অসুবিধা

অ্যাকিউট কিডনি ইঞ্জুরির চিকিৎসা:

ডিহাইড্রেশন, সংক্রমণ বা ওষুধের কারণে কিডনি প্রভাবিত হলে এর চিকিৎসা সহজসাধ্য, বলছেন ডা. চট্টোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে শরীরে তরল এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য শিরায় তরল বা মূত্রবর্ধক দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, কারণের উপর নির্ভর করে, লক্ষণগুলি কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বা প্রদাহ কমানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ দেওয়া হতে পারে।

কিন্তু যদি অবস্থা গুরুতর হয়, তাহলে রক্ত থেকে বর্জ্য দূর করার জন্য ডায়ালিসিস ছাড়া উপায় নেই বলেই জানিয়েছেন ডা. চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা জরুরি, এটাও উল্লেখ করতে ভোলেননি।

(Feed Source: news18.com)