শি জিনপিং শান্তির মশীহ হতে বেরিয়েছিলেন, ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলা এভাবেই ফাঁস করল

শি জিনপিং শান্তির মশীহ হতে বেরিয়েছিলেন, ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলা এভাবেই ফাঁস করল

ছবি সূত্র: এপি
হামাসের হামলার বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে দ্ব্যর্থহীন বিবৃতি এসেছে।

বেইজিং: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ বছর নিজেকে ‘বৈশ্বিক শান্তির মশীহ’ হিসেবে প্রমাণ করার প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। একদিকে তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিয়েছিলেন, অন্যদিকে চিরশত্রু দেশ ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পথ পরিষ্কার করেছিলেন। তার এই সমস্ত প্রচেষ্টা অনেকাংশে প্রতিফলিত হয়েছিল, কিন্তু ইসরায়েলের উপর হামাসের আক্রমণ এটিকে জগাখিচুড়িতে পরিণত করেছিল এবং তার গোপনীয়তা উন্মোচিত হয়েছিল।

হামলার পর চীন একটি অস্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছে

প্রকৃতপক্ষে, হামাসের হামলার পর চীন থেকে আসা বিবৃতিতে সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মকাণ্ডের কোনো উল্লেখ ছিল না, শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনো প্রচেষ্টার কথা ছিল না। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বিবৃতিতে স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবি উত্থাপন করেছে এবং ইসরায়েলি বেসামরিকদের ওপর হামলাকে উপেক্ষা করেছে। তিনি তার বিবৃতিতে শুধু বলেছিলেন যে এই যুদ্ধে জড়িত উভয় পক্ষকে ধৈর্য প্রদর্শন করা উচিত। পরে, মন্ত্রণালয় আরেকটি বিবৃতিতে বলে যে উভয় পক্ষই চীনের ‘বন্ধু’ এবং এই ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় ‘দুঃখিত’।

চীন যা বলছে তা পছন্দ করেনি ইসরায়েল
চীন ইসরায়েল এই বক্তব্য মোটেও পছন্দ করেনি এবং বলেছে যে বেইজিংয়ের কাছ থেকে এমন কথা শুনে হতাশ হয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকাও ইসরায়েলের প্রতি কোনো সহানুভূতি না দেখানোয় চীনের সমালোচনা করেছে। তবে এত কিছুর মধ্যেও প্রশ্ন উঠছে, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত যে জিনপিং শান্তির মসিহা হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন, তিনি কেন এত বড় সঙ্কটের সময়ে নিজের পক্ষ থেকে কিছু বলছেন না? এতকিছুর পরও কেন তিনি এ অবস্থা থেকে উত্তরণের কোনো পথের কথা বলছেন না?

চীনের নজর রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর ওপর
চীনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ থেকে এটা স্পষ্ট যে তার চোখ এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে। ইরান হামাসের পেছনে রয়েছে এবং সে কারণেই তারা প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম দিচ্ছে না। উভয় পক্ষের সঙ্গে সম্প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টা এবং ভবিষ্যতে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। অন্যদিকে চীন যেভাবে ইরান ও অন্যান্য আরব দেশকে প্রভাবিত করতে পারে, সেভাবে ইসরায়েলকে প্রভাবিত করতে পারে না। তাই তিনি অন্য আরব দেশের খরচে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াতে চান না। তবে যাই ঘটুক না কেন, হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ চীনকে উন্মোচিত করেছে।

(Feed Source: indiatv.in)