উত্তরপ্রদেশে ৫০ বছরের শিক্ষকের সঙ্গে পালাল নাবালিকা, অপহরণের অভিযোগ

উত্তরপ্রদেশে ৫০ বছরের শিক্ষকের সঙ্গে পালাল নাবালিকা, অপহরণের অভিযোগ

চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলায়। এক নাবালিকা ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেল ৫০ বছর বয়সি এক গৃহ শিক্ষক। তবে মেয়েটি নাবালিকা হওয়ায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলার রুজু করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার এই ঘটনায় পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়েছে পরিবারটি। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি তার বাড়ি থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক নাবালিকাকে হিন্দি শিখিয়েছিল। এখন শিক্ষক নাবালিকার সঙ্গে বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করছে। যার ফলে পরিবারের সদস্যের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। গোন্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিব রাজ বলেন, ‘পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে মেয়েটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। আমরা শিক্ষকের কিছু বিবরণ পেয়েছি। যে মূলত বাহরাইচ থেকে এসেছে। তার আত্মীয় পরিজনদের কাছে খোঁজ করা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, ৫০ বছর বয়সি ওই গৃহ শিক্ষকের নাম কৌশল কিশোর। পুলিশ সুপার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরেই এই অঞ্চলের সমস্ত বাসস্ট্যান্ড এবং রেলস্টেশনকে সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যখনই মেয়েটি বাইরে যেত বা বাজারে যেত তখনই তার পিছু নিত ওই শিক্ষক। কিন্তু, প্রথমে তারা বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি।

মেয়েটির বাবার অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। এরপর তিনি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান। তারপরেই এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। তিনি বলেন, ‘গত বছরের সমস্ত সঞ্চয়, যা আমি বাড়িতে রেখেছিলাম আমার মেয়ে সেসব নিয়ে চলে গিয়েছে। আমি বুঝতে পারিনি তার এই পরিকল্পনা ছিল।’ শিক্ষকের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত আমাদের গ্রামে বাস করত এবং আমাদের বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে থাকত। তাকে খুব শান্ত এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি বলে মনে হয়েছিল। সে আমার কাছে এসেছিল এবং আমার মেয়েকে বিনামূল্যে পড়ানোর আগ্রহ দেখিয়েছিল এবং তাকে একজন অফিসার বানানোর আশ্বাস দিয়েছিল। আমি বুঝতে পারিনি যে তার এই পরিকল্পনা ছিল।’

এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাত ১১টা পর্যন্ত স্থানীয় রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। যার কারণে যাত্রীদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। যানজটের কারণে পথচারী ও বাস যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের ব্যবস্থা করা হয়নি।

(Feed Source: hindustantimes.com)