কোচবিহার: বাঙালির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর পুজো মানেই রকমারি মিষ্টির সম্ভার। ইতিমধ্যেই জেলার সমস্ত মিষ্টির দোকান প্রস্তুতি শুরু করেছে দুর্গাপুজোর রকমারি মিষ্টি তৈরির। তবে জেলায় এবার এক নতুন মিষ্টি হাজির হয়েছে বাজার মাতাতে। কোচবিহারের বাবুরহাট এলাকায় এক প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান নিয়ে এসেছে এই অনন্য স্বাদের মিষ্টি।
এই বিশেষ আকর্ষণীয় মিষ্টির নাম “জলসা কালাকান্দ”। মাত্র দশ টাকা মূল্যের এই মিষ্টি খেতে যেমনি অপূর্ব, দেখতেও তেমনি দারুণ। সম্পূর্ন ছানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ মিষ্টি। বিশেষ স্বাদের এই মিষ্টি ইতিমধ্যেই সকলের মন জয় করে নিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই মিষ্টির নাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে জেলাজুড়ে। বহু মানুষ ভিড় করে কিনছেন এই সুস্বাদু মিষ্টি।
দোকানের কর্ণধার গণেশ মোদক জানান, “তাঁদের দোকান দীর্ঘ সময় আগে তাঁর বাবার হাতে প্রতিষ্ঠা হয়। তবে তিনি দোকানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রকমারি মিষ্টির তৈরি শুরু করেন। যে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁর দোকানে কম কিংবা বেশি নিত্যনতুন ধরনের মিষ্টি তিনি তৈরি করে থাকেন। এবার তাই পুজো উপলক্ষে তিনি এই জলসা কালাকান্দ মিষ্টি তৈরি করেছেন। নামে কালাকান্দ হলেও এর স্বাদ সাধারণ কালাকান্দ থেকে একেবারেই আলাদা। এর মধ্যে একটু রসালো ভাব রয়েছে। এছাড়া এই মিষ্টি মুখে দিলে দানা দানা হওয়ার পরিবর্তে একেবারেই মিলিয়ে যায়। সম্পূর্ণ খাঁটি ছানা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় এই বিশেষ জলসা কালাকান্দ মিষ্টিকে।”
দোকানে মিষ্টি কিনতে আসা দুই ক্রেতা বিশ্বজিৎ দত্ত এবং সুবল ভৌমিক জানান, “মাত্র দশ টাকা দামের এই মিষ্টি খেতে সত্যি অপূর্ব। রীতিমতো লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে কিনতে হচ্ছে এই মিষ্টি। তবে কোচবিহারে এই প্রথম এই মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে সম্ভবত। কারণ এই স্বাদের মিষ্টি আগে কখনও হয়তো কোচবিহারের মানুষেরা পায়নি। তবে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিড় করতে শুরু করেছেন এই মিষ্টির স্বাদ নিতে। বর্তমানে এই মিষ্টি সীমিত পরিমাণে হচ্ছে। তবে পুজোর সময় তা পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাবে আশা করছেন সকল গ্রাহক।” ইতিমধ্যেই জেলার মিষ্টি প্রেমীদের মনের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলতে পেরেছে এই নতুন মিষ্টি জলসা কালাকান্দ।
(Feed Source: news18.com)