মুর্শিদাবাদ: পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে হরিহরপাড়া থানার সাহাজাদপুর এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম প্রিয়াঙ্কা খাতুন (১৯)। প্রিয়াঙ্কার মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন শ্বশুরবাড়িতে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় আহত হন গৃহবধূর দুই আত্মীয়। পরিবারের লোকেরা হরিহরপাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বছর দুয়েক আগে নাবালিকা অবস্থায় নওদার চন্ডীপুর এলাকার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা খাতুনের বিয়ে হয় সাহাজাদপুরের মেহেবুব সেখের সঙ্গে। মেহেবুব সেখের দ্বিতীয় স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে প্রায়ই শ্বশুরবাড়ি থেকে পণের জন্য চাপ দিত প্রিয়াঙ্কাকে। শ্বশুরবাড়ির চাহিদামত পণ দিতে না পারায় ওই গৃহবধূর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এদিন প্রিয়াঙ্কার মৃত্যুর খবর পেয়ে বাপের বাড়ির লোকেরা আসতেই প্রিয়াঙ্কার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক।
এটা খুন না আত্মহত্যা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের দিদি শাহিদা বিবি বলেন, ‘পণের দাবি মেটাতে না পারায় আমার বোনকে ওরা খুন করেছে। মেহেবুব শেখের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আবার সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় আমার বোনের উপর দিনের পর দিন অত্যাচার বেড়েই চলছিল। আমি ওদের কঠোর শাস্তি চাই।’ মৃতের দাদা গাজলু শেখ বলেন, ‘বিয়ের সময় নগদ টাকা, মোটর বাইক সমস্ত আসবাবপত্র দিয়ে বোনের বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরেও ওদের চাহিদা বেড়েই যাচ্ছিল। আমরা বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ওদের বাড়ি যেতেই আমাদের মারধর শুরু করে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’
(Feed Source: news18.com)