
কলকাতা: মোটরবাইকে কোনও রিভার্স গিয়ার থাকে না। অনেকে সময়ই বাইকাররা এই বিষয়ে খানিকটা বিরক্তি প্রকাশ করেন। সাধারণত মোটরবাইক পার্ক করা এবং সেখান থেকে বের করার সময় এই বিরক্তি সর্বাধিক হতে পারে।
BMW K1200LT, কয়েক মডেলের Honda Goldwing বা Moto Guzzi, Ural Sidecar, Harley-Davidson trike বা Piaggio MP3 (trike)-এর মতো যানে রিভার্স গিয়ার দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তায় যেসব মোটরবাইক চলে তার বেশিরভাগেই এই বিশেষত্বটি থাকে না।
কিন্তু কেন! আদৌ কি এটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে! জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত—
মোটরবাইকে কেন থাকে না রিভার্স গিয়ার:
বেশিরভাগ মোটবাইকেই রিভার্স গিয়ার থাকে না। কারণ, যেকোনও মোটরবাইকই কমপ্যাক্ট আকার এবং ওজনের হয়ে থাকে। ফলে কখনও উল্টোদিকে যাওয়ার প্রয়োজন হলে অনায়াসেই তাকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে রিভার্স গিয়ারের কোনও প্রয়োজনই নেই। সব থেকে বড় বিষয় হল, রিভার্স গিয়ার থাকলে মোটরবাইকের বীমা খরচও বাড়ত।
মোটরবাইকের ওজন যেহেতু কম, আরোহী তাঁর শক্তি দিয়েই সেটি নাড়া-চাড়া করতে পারে, তাই অতিরিক্ত একটি গিয়ারের প্রয়োজনই হয় না।
যেকোনও মোটরবাইকের ফ্রন্ট ফোর্ক-এ একটি রেক অ্যাঙ্গেল থাকে। এটি মোটরবাইকটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি বিপরীত দিকে কাজ করে না। তাই মোটরবাইক পিছনের দিকে চালানো হলে সেই কাজ আরও কঠিন হতে পারে। ঝুঁকি কম বলেই বীমার খরচও কম হয়। শুধুমাত্র রিভার্স গিয়ার মেকানিজম থাকে না বলেই মোটরবাইকের খরচ কম হয়। সাশ্রয়ী মূল্যে ভ্রমণ সেরে ফেলা যায়। রক্ষণাবেক্ষণের খরচও কমে।
থাকলে কী হত:
কোনও মোটরবাইকের গিয়ার কাজ করে সামনের এবং পিছনের গিয়ার প্যাডেল সরিয়ে দিয়ে। ফলে রিভার্স গিয়ার, রিভার্স ট্রান্সমিশন পদ্ধতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
এর ফলে মোটরবাইকের দাম বাড়বে, বীমা খরচ, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সবই বাড়বে। শুধু তাই নয় রিভার্স গিয়ার থাকলেই মোটরবাইকের ওজন বৃদ্ধি পাবে, বাড়বে আকারও৷ তাতে আখেরে মোটরবাইক ব্যবহার করাই কঠিন হয়ে পড়বে।
