চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন নেইমার, ভাঙল ব্রাজিলের অপরাজিত থাকার রেকর্ড

চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন নেইমার, ভাঙল ব্রাজিলের অপরাজিত থাকার রেকর্ড

চোখের জলে মাঠ ছাড়তে হলে নেইমারকে। মঙ্গলবার উরুগুয়েতে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথমার্ধের ম্যাচ শেষে হাঁটুতে চোট নিয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়ার সময়ে নেইমার একেবারে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বিরতির ঠিক আগে প্রথমার্ধের ৪৪ মিনিটের মাথায়, উরুগুয়ে মিডফিল্ডার নিকোলাস দে লা ক্রুজের সঙ্গে বল দখলের লড়াই চলছিল নেইমারের। দে লা ক্রুজের ধাক্কায় পড়ে যান ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। বাঁ-হাঁটু ধরে ব্যথায় তিনি ছটফট করে ওঠেন। তাঁর মাটি চাপড়ানো দেখেই আশঙ্কা হয়েছিল, চোট গুরুতর।

মাঠেই নেইমারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুই দলের খেলোয়াড়েরাও তাঁকে ঘিরে ভিড় জমিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সূত্র মারফত রয়টার্স জানিয়েছে, সম্ভবত নেইমারের বাঁ হাঁটু মচকে গিয়েছে। লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তা পরীক্ষার পর বোঝা যাবে।

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, নেইমার হাঁটু মচকে গিয়েছে এবং তাতে লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ব্রাজিলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কাসেমিরো ম্যাচ শেষে নেইমাকের চোট প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ওর মাঠ ছেড়ে যাওয়াটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। আশা করি, যেন বড় কিছু না হয়। দৌড়ের গতি বাড়ানোর সময় এর আগেও ও এমন চোটের কবলে পড়েছে।’

নেইমারের চোটের পাশাপাশি ব্রাজিলও হতাশ করেছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে ব্রাজিল। এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সর্বোচ্চসংখ্যক ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডেও ইতি পড়ে গেল। টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

প্রথমার্ধের ৪০ মিনিট পর্যন্ত দুই দলই বাজে খেলেছে। সে ভাবে আক্রমণে ওঠেনি কোনও দলই। অথচ এরই মধ্যে দুই দল ফাউল করেছে ১৭টি! ৪২ মিনিটে ম্যাক্সিমিলিয়ানো আরাজোর ক্রস থেকে হেডে গোল করেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার ডারউইন নুনেজ। ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে এটি ছিল গোলমুখে নেওয়া প্রথম শট। এর পর নেইমার চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন আর ব্রাজিলেরও ম্যাচে ফেরার আশা ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে থাকে।

নেইমারের জায়গায় রিচার্লিসনকে নামানো হয়েছিল। রদ্রিগো, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াসদের আক্রমণভাগ গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয়। উল্টে ৭৭ মিনিটে নুনেজের পাস থেকে উরুগুয়েকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন নিকোলাস দে লা ক্রুজ। এর মধ্য দিয়ে ১৯৮৩ কোপা আমেরিকার পর, গত ৪০ বছরে এই প্রথম ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার স্বাদ পায় উরুগুয়ে। শেষ পর্যন্ত ২ গোলে এগিয়ে থেকেই জয় তুলে নেয় উরুগুয়ে।

(Feed Source: hindustantimes.com)