‘একটু সরে বসুন’! কমলেশ্বরের ছবিতে রাতারাতি ভাগ্য বদল মৌমিতার! জানুন

‘একটু সরে বসুন’! কমলেশ্বরের ছবিতে রাতারাতি ভাগ্য বদল মৌমিতার! জানুন

কলকাতা: সামনেই মুক্তি পাবে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘একটু সরে বসুন’! বনফুলের লেখা ‘পাশাপাশি’ গল্প অবলম্বনেই তৈরি হচ্ছে এই ছবি! এই ছবিতে ঋত্বিক চক্রবর্তী, পাওলি দাম মৌমিতা পণ্ডিতের মতো বেশ কিছু শিল্পী! তবে এই সিনেমা শ্যুটিংয়ে ঘটে যায় এক বিরাট বদল! সেই বদলের নাম মৌমিতা। সিনেমার কোথাও কোনও নাম ছিল না তাঁর। তিনি কাস্টই হননি! বরং মৌমিতা এই ছবিতে কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে তামান্না (শিশু শিল্পী)কে কাস্ট করেছিলেন। এবং তামান্নার কানে কানে বলে দিয়েছিলেন, “ঋত্বিকদাকে বলো একদিন মৌমিতা আন্টি তোমার সঙ্গে কাজ করবে!” এটা আবার সেই ছোট্ট তামান্না বলেও দেয়। ঋত্বিক বলেন, “হবে হবে”! ঠিক তার দু’দিনের মাথায় মিরাকেল। ছবিতে ডাক পড়ল মৌমিতার!

সেটে পৌঁছে দেখেন বড় বড় করে তাঁর নাম লেখা বোর্ডে এবং ডেট। সব থেকে বড় বিষয় হল ঋত্বিক চক্রবর্তীর বিপরীতেই কাজ করছেন তিনি। কী করে সম্ভব হল, মৌমিতা জানান, “আমি তো কিছুই জানতাম না। কমলদার ফোন পেয়ে ভেবেছিলাম অন্য কিছু বলবে হয়ত। কিন্তু গিয়ে দেখি আমার নাম লেখা। আমার চরিত্রটি যার করার কথা ছিল সে বাদ যায়! এবং ঘুরে ফিরে আমার কাছে চলে আসে চরিত্রটা! যার নাম প্রজ্ঞা! এর আগেও আমি রক্তপলাশ-এ মায়ার চরিত্রে কাজ করি। কমলদা আমায় যেভাবে গড়ে নিয়েছেন তা আমার জন্য আর্শীবাদ! কমলদার সঙ্গে কাজ করা ভাগ্যের বিষয়! তবে ভয় ছিল পারবো তো!”

দু’দিনের মধ্যে স্ক্রিপ্ট পড়ে বুঝে নিয়ে সেটে আসতে হয়েছিল এই অভিনেত্রীকে! ঠিক যেন মাধ্যমিকের পরীক্ষা! মৌমিতা বলেন, “আমার তো বেশ নার্ভাস লাগছিল। কারণ আমার সঙ্গে পাউলি দাম ও ঋত্বিকের মতো অভিনেতারা কাজ করবেন। ৫ বছর আগে ‘কণ্ঠ’ ছবিতে খুব ছোট একটা চরিত্রে কাজ করেছিলাম। তবে আমাকে দেখেই হেসে পাউলিদি বললেন, কীরে কেমন আছিস? ব্যস সব ভয় শেষ! আমাকে মনে রেখেছে এটাই পাওনা আমার কাছে! এখানে আসলে আমি আর পাউলিদি এক সঙ্গে একটা প্লেসমেন্ট কোম্পানি চালাই। ঋত্বিক আসে আমাদের কাছে চাকরির জন্য! তারপর থেকেই একের পর এক মজার ঘটনা ঘটতে থাকে! ভীষণ মজার কাজ!”

এই ছবির শ্যুটিং কলকাতাতেই হয়েছে। তবে ঋত্বিকের কিছুটা পার্ট ঝাড়গ্রামে হয়েছে। মৌমিতা বলেন, ” আমি মফঃস্বল থেকে আসা মেয়ে! দশ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছি। নায়িকা সুলভ আমি দেখতে নই! কিন্তু কাজটা তো জানি। এই স্ট্রাগল পিরিয়ডে আমি বুঝেছি, ভাল কাজ জানলে ইন্ডাষ্ট্রীতে মামা, কাকা, বাবা কাউকে লাগে না! যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ আসবেই! আর এই বিষয়টা আমার মধ্যে কমলদাই ঢুকিয়ে দিয়েছেন! এখন আমি আত্মবিশ্বাসী! আর এই ছবিটা আমার কাছে স্বপ্ন ছিল। আমি এখন বিক্রমের সঙ্গে একটা নতুন কাজ করছি। কমলদার সঙ্গেও বাকেট লিস্টে কাজ আছে।”

বাংলা ছবির জগৎ কিন্তু আগের থেকে বদলে গিয়েছে। এখন একটা সিনেমা অনেক কম সময়ে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়। ফলে কাজ এখন বেশি পাওয়া যায়! যা কিন্তু এক দিক থেকে সবার জন্য ভাল! গ্রাম হোক বা শহর, নায়িকা সুলভ দেখতে হোক বা অন্যরকম সুন্দরী, ভাল কাজের কদর কিন্তু টলিউড আজও করে! মৌমিতা বলেন, “এই সিনেমাটা যে আমি করতে পারবো আমি বিশ্বাস করিনি। তাও ঋত্বিকদার সঙ্গে কাজ। এ তো আমার স্বপ্ন ছিল। ওই যে বলে না, “তুম কিসি চিজ কো আগার সিদ্দত সে চাহো তো পুরি কায়ানত তুমহে উসসে মিলানে কী কৌশিস মে লাগ যাতি হ্যাঁয়”

(Feed Source: news18.com)