লক্ষ লক্ষ জীবনে প্রভাব ফেলবে ভারতের পদক্ষেপ, গর্জে উঠলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

লক্ষ লক্ষ জীবনে প্রভাব ফেলবে ভারতের পদক্ষেপ, গর্জে উঠলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

কলকাতা: ভারত-কানাডা টানাপড়েন চলছেই। সরাসরি সংঘাত এড়ালেও শীতল যুদ্ধের আঁচ করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি ভারত থেকে কানাডার কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘটনার পর সেই বিষয়টি আরও খানিকটা পালে হাওয়া পেয়েছে তা বলাই যায়।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুক্রবার বলেছেন, তাঁর দেশের কূটনীতিকদের বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ উভয় দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে। ট্রুডো বলেন, ‘ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ ভারত এবং কানাডায় বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য জীবনযাত্রার স্বাভাবিকতা নষ্ট করে ফেলবে। ভারত কূটনীতির একটি মৌলিক সাধারণ নীতি লঙ্ঘন করেই এই পদক্ষেপ করছে।’

ওই দিন ওন্টারিওর ব্রাম্পটনে একটি টেলিভিশন সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো জানিয়েছেন এই কথা। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা আমাকে উদ্বিগ্ন করেছে। লক্ষ লক্ষ কানাডিয়ান, যাঁদের মূল জড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশে, তাঁদের সুখ, শান্তির বিষয়টি আমাকে ভাবাচ্ছে।’

সম্প্রতি একতরফা ভাবে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিকের মর্যাদা প্রত্যাহার করার হুমকি দেয় ভারত। তার পরেই কানাডা ওই ৪১জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করে। তার ঠিক একদিন পর সংবাদ সম্মেলনে এই বক্তব্য পেশ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও ভারতে রয়েছেন মোট ২১ জন কানাডিয়ান কূটনীতিক।

গত মাসেই কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাকামী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত থাকতে পারে বলে দাবি করেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয় নয়াদিল্লি। ট্রুডো বলেন, ‘কানাডার কিছু কূটনীতিককে বহিষ্কার করা দুই দেশেরে মধ্যে ভ্রমণ এবং বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করবে। পাশাপাশি কানাডায় পড়তে যাওয়া ভারতীয়রাও অসুবিধায় পড়বেন।’

কমপক্ষে দুই মিলিয়ন কানাডিয়ান নাগরিক ভারতীয় বংশোদ্ভুত। এই সংখ্যাটা সেদেশের সামগ্রিক জনসংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশ। সেদেশে পড়াশোন করতে যান এমন ছাত্রদের একাটা বড় অংশ ভারতের। প্রায় ৪০ শতাংশ স্টাডি পারমিট ধারক এই দেশ।

এই পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রক এর আগে কূটনৈতিক বহিষ্কার সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করার কথা অস্বীকার করেছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি করেছে, দু’দেশের সম্পর্কের নিরিখে ভারতে কানাডিয়ান কূটনীতিকের সংখ্যা অনেক বেশি এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাঁদের ক্রমাগত হস্তক্ষেপ নয়াদিল্লি এবং অটোয়ার সমতা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

(Feed Source: news18.com)