অস্বাভাবিকতা নেই, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই মৃত্যু কেকে-র! ইঙ্গিত ময়নাতদন্ত রিপোর্টে

অস্বাভাবিকতা নেই, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই মৃত্যু কেকে-র! ইঙ্গিত ময়নাতদন্ত রিপোর্টে

#কলকাতা: কোনও অস্বাভাবিকতা নয়, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে সঙ্গীত শিল্পী কেকে-র৷ প্রয়াত শিল্পীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সেরকমই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ সেখানে বলা হয়েছে হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে শিল্পীর৷ একই সঙ্গে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যাসিডিটিতে ভুগছিলেন কেকে৷ যার জন্য প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টাসিডও খেতেন তিনি৷ তবে ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে৷

এ দিন দুপুরেই এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত শিল্পীর দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়৷ রবীন্দ্র সদনে শিল্পীকে রাজ্য সরকারের তরফে গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর বিকেলের বিমানেই দেহ নিয়ে মুম্বাই রওনা হন কেকে-র পরিবারের সদস্যরা৷

পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতায় আসার পর স্ত্রী জ্যোতিকে হাত এবং কাঁধের ব্যথার কথা বলেছিলেন কেকে৷ গত ৩০ মে তিনি স্ত্রীকে এই সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন৷

মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান শেষ হতেই অসুস্থ বোধ করেন কেকে৷ পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ৮.৪০ থেকে ৮.৪৫-এর মধ্যে নজরুল মঞ্চে শো শেষ হয়৷ ৯.১৫-র মধ্যে ধর্মতলার হোটেলে নিয়ে আসা হয় শিল্পীকে৷ এর মধ্যেও ভক্তদের আব্দার মেনে ছবি তোলেন কেকে৷ সেই সময় তাঁর সঙ্গে ১৮ বছরের পুরনো ম্যানেজার রিতেশ ভাট ছিলেন৷

হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে পুলিশ দেখেছে,  লিফটে করে ওঠার সময়ই কেকে শরীরী ভাষায় যথেষ্ট অস্বস্তি ধরা পড়ছিল৷ ঘরে ঢোকার দু’ মিনিটের মধ্যেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন শিল্পী৷ এর পরেই রিসেপশনে ফোন করে সাহায্য চান তিনি৷ খবর পেয়ে ছুটে আসেন কেকে-র ম্যানেজার ও হোটেলের সঙ্গীরা৷

এর পরে ঘরের মধ্যেই পড়ে যান কেকে৷ সেই সময় ঘরে থাকা একটি টেবিলের কোণা তাঁর কপালে লাগে৷ অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি হওয়ায় হোটেলের গাড়িতেই শিল্পীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে৷

Published by:Debamoy Ghosh

(Source: news18.com)