ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ব্ল্যাক হোলের জন্মরহস্য নিয়ে সামনে এক নতুন তথ্য!

ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ব্ল্যাক হোলের জন্মরহস্য নিয়ে সামনে এক নতুন তথ্য!

Black Hole Scary Facts: ব্ল্যাক হোল (Black Hole) নিয়ে আজ থেকে ঠিক দু’বছর আগে তুমুল আলোচনার ঝড় ওঠে জ্যোতির্বিজ্ঞানী মহলে। সেই প্রথম ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি প্রকাশ্যে আসে বিশ্ববাসীর সামনে। তবে ব্ল্যাক হোল নিয়ে আমরা যত তথ্যই সংগ্রহ করি না কেন প্রকৃতির এই রহস্যময় সত্ত্বার বৈশিষ্ট্য শেষ হওয়ার নয়। মহাজগতের এক অকল্পনীয় বস্তু হিসেবে ব্ল্যাক হোল এতটাই সাংঘাতিক যে এর মধ্য দিয়ে আলোও বেরিয়ে আসতে পারে না।

সম্প্রতি চ্যাপেল হিলে অবস্থিত নর্থ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী পূর্বে উপেক্ষিত কিছু পরিত্যক্ত গ্যালাক্সিতে বিদ্যমান বিশাল ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন। ক্যারোলিনা গ্র্যাজুয়েট স্কুলের রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে, এর দ্বারা আমাদের নিজস্ব গ্যালাক্সি মিল্কি ওয়ের বিশাল ব্ল্যাক হোলের উৎস সম্পর্কে জানতে পারা যাবে। এর থেকে প্রমাণ হয় যে, এই ধরনের বৃহৎ ব্ল্যাক হোলগুলি হাজার হাজার পরিত্যক্ত গ্যালাক্সি ছেড়ে ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে দানা বাধে এবং বৃহৎ আকারের ব্ল্যাক হোল তৈরি করে, ঠিক যেমনটা রয়েছে আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে।

ব্ল্যাক হোল কী?

ব্ল্যাক হোল হল গ্যালাক্সিতে অবস্থিত এমন একটি স্থান যা মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতটাই প্রবল যে আলোও এর মধ্যদিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না। এটি এমনই এক মহাজাগতিক বস্তু যা প্রবল মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বলে এর আশেপাশে থাকা সব কিছুকেই নিজের দিকে টেনে নেয় এবং আত্মসাৎ করে ফেলে। নাসার (NASA) গবেষণা অনুযায়ী, ব্ল্যাক হোলের উৎপত্তি ঘটে কোনও একটি মৃত নক্ষত্র থেকে। এই নক্ষত্রগুলি নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমে নিজের কেন্দ্রেই সংকুচিত হতে থাকে এবং বিক্রিয়ার দ্বারা শক্তি উৎপন্ন করে। এর ফলে সুপারনোভার অবস্থা তৈরি হয়। সুপারনোভার ফলে নক্ষত্রের কেন্দ্রে বিপুল বিস্ফোরণ সংঘটিত হয় এবং তা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে।

সম্প্রতি নতুন গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, আমাদের নিজস্ব গ্যালাক্সি মিল্কি ওয়ের ঠিক মাঝখানে থাকা বৃহৎ আকারের ব্ল্যাক হোলটি ধীরে ধীরে আশে-পাশের ছোট ছোট গ্যালাক্সির ব্ল্যাক হোলগুলিকে আত্মসাৎ করে আকারে আরও বৃহৎ হচ্ছে। প্রায় ৮০% ক্ষেত্রে দেখা যায় গ্যালাক্সিগুলি এভাবেই তৈরি হয়েছে।

Published by:Ananya Chakraborty

(Source: news18.com)