Nexon-এর তুলনায় বেশি পাওয়ার; মাইলেজ বেশি আর দামও আয়ত্তের মধ্যে

Nexon-এর তুলনায় বেশি পাওয়ার; মাইলেজ বেশি আর দামও আয়ত্তের মধ্যে

কলকাতা: প্রত্যেকেই নিজের পরিবারের জন্য একটি গাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখেন। যা কেবল আরামদায়ক হলেই হয় না, পরিবারের সকল সদস্য যেন একসঙ্গে ভ্রমণ করতে পারেন, সেইদিকেও নজর রাখতে হয়। এর পাশাপাশি গাড়ির ফিচারগুলোও ভাল হতে হবে। যখন এমন একটি গাড়ির কথা ওঠে, তখন মানুষের মনে প্রথম আসে একটি ৭ সিটার গাড়ির ভাবনা। এটা সত্য যে একটি পরিবারের জন্য ৭ আসনের গাড়ির চেয়ে ভাল আর কিছুই হতে পারে না। কারণ এতে পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে বসে ভ্রমণ করতে পারবেন। এখন যখনই আমরা MPV অর্থাৎ ৭ সিটার গাড়ির কথা বলি, তখন দাম একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ৭ সিটার গাড়ির দাম বেশি এবং তাদের মাইলেজও কম এবং একই সঙ্গে এই গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচও বেশি। এই পরিস্থিতিতে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এই জাতীয় গাড়ি ক্রয় করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং তাদের হ্যাচব্যাক বা কমপ্যাক্ট এসইউভি গাড়ি ক্রয় করে আপোস করতে হয়।

এখন যখন কমপ্যাক্ট এসইউভির কথা আসে, তখন মানুষের মনোযোগ টাটা নেক্সনের দিকে যায়। গাড়িটি চমৎকার হলেও ৫ সিটার হওয়ায় এটি একটি বড় পরিবারের জন্য কিছুটা সমস্যার হতে পারে। কিন্তু এখন আমরা আপনাকে বলি যে, এমন একটি গাড়ি রয়েছে যা নেক্সনের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হলেও দামও প্রায় সমান এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এটি একটি ৭ আসনের এমপিভি। গাড়ির মাইলেজের কথা যদি বলি, নেক্সনের মাইলেজও এর থেকে অনেক কম। এখন অনেকে নিশ্চয়ই ভাবছেন যে, এমন কোনও গাড়ি যা টাটা-র সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া নেক্সনকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই গাড়িটি দেশের সবচেয়ে বড় অটোমোবাইল কোম্পানি তৈরি করেছে এবং এটি ক্রমাগত সেরা বিক্রি হওয়া গাড়ির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

এখানে আমরা Maruti Suzuki Ertiga সম্পর্কে কথা বলছি। Ertiga দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ৭ সিটার গাড়ি। গাড়িটি চমৎকার ইঞ্জিন এবং মাইলেজ-সহ আসে। কোম্পানি সিএনজি ভ্যারিয়েন্টেও এই গাড়িটি অফার করে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এর সমস্ত খুঁটিনাটি।

দুর্দান্ত শক্তি-সহ দুর্দান্ত মাইলেজ:

কোম্পানি গাড়িতে ১.৫ লিটার ডুয়ালজেট পেট্রোল ইঞ্জিন অফার করে। এটি হালকা হাইব্রিড প্রযুক্তির সঙ্গে আসে। এই ইঞ্জিন ১০৩ BHP শক্তি উৎপন্ন করে। এর টর্ক ১৩৬.৮ Nm। সিএনজিতেও গাড়ির শক্তি কম নয়। সিএনজিতে গাড়িটি ৮৮ bhp শক্তি এবং ১২১ Nm টর্ক জেনারেট করে। এছাড়াও গ্রাহকরা এই গাড়িতে ম্যানুয়াল এবং স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশনের বিকল্প পাবে। নেক্সন সম্পর্কে কথা বললে, এটি ১.২ লিটার ইঞ্জিনের সঙ্গে আসে। এখন যদি আমরা Ertiga-এর মাইলেজের কথা বলি, এটি পেট্রোলে প্রতি লিটারে ২৪ কিলোমিটার এবং CNG-তে প্রতি লিটারে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ দেয়।

দাম:

Ertiga-এর দামের কথা বললে, এর বেস ভ্যারিয়েন্ট ৮.৬৪ লক্ষ টাকা এক্স-শোরুম মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। গাড়ির টপ ভ্যারিয়েন্টটি ১৩.০৮ লক্ষ টাকার এক্স-শোরুম মূল্যে উপলব্ধ।

দুর্দান্ত ফিচার:

এই গাড়িতে গ্রাহকরা ৭-ইঞ্চির স্মার্টপ্লে প্রো টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কারপ্লে সাপোর্ট, সংযুক্ত গাড়ি প্রযুক্তি (টেলিমেটিক্স), ক্রুজ নিয়ন্ত্রণ, অটো হেডল্যাম্প, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ এসি, প্যাডেল শিফটার, ৪টি এয়ারব্যাগ, EBD-সহ ABS, ব্রেক পাবেন। এছাড়াও এই গাড়িতে ব্যাক পার্কিং সেন্সর, ISOFIX চাইল্ড সিট অ্যাঙ্করেজ, ইএসপি-সহ হিল হোল্ড কন্ট্রোলের মতো বৈশিষ্ট্যগুলি উপলব্ধ।

(Feed Source: news18.com)