ইনজুরি টাইমে জোড়া গোল নর্থ ইস্টের, এগিয়ে গিয়েও হার জামশেদপুরের

ইনজুরি টাইমে জোড়া গোল নর্থ ইস্টের, এগিয়ে গিয়েও হার জামশেদপুরের

ফুটবল এমন একটি খেলা যেখানে যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। অনেকে ময়দানের ভাষায় ফুটবলকে অনিশ্চয়তার খেলাও বলে থাকেন। এবার তেমনই এক ঘটনা ঘটল আইসএলে। বৃহস্পতিবার আইএসএলে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড মুখোমুখি হয় জামশেদপুর এফসির। আর সেই ম্য়াচেই ঘটে অঘটন। শেষ মুহূর্তে জোড়া গোল করে ম্যাচ জিতল নর্থ ইস্ট।

বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। নর্থ ইস্টের হোম ম্যাচ হলেও, শুরুতে দাপট ছিল জামশেদপুরের। ১৯ মিনিটের মাথায় জামশেদপুরকে এগিয়ে দেন ড্যানিয়েল চিমা। প্রথম গোলে স্বাভাবিক ভাবেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় জামশেদপুর। ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালায় নর্থ ইস্টও। হোম ম্যাচে পিছিয়ে পড়া মানসিক ভাবে কতটা প্রভাব ফেলে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিন্তু কোনও ভাবেই তারা ম্যাচে ফিরতে পারেননি। জামশেদপুরের শক্ত ডিফেন্সের কাছে ল্যাজে গোবরে হয়ে যায় তারা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে জামশেদপুর। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে নর্থ ইস্ট। নতুন শপথ নিয়ে মাঠে নামলেও কোনও ভাবেই তারা গোলের মুখ খুলতে পারেননি। বারংবার চেষ্টা চালালেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন। প্রায় ৭০ মিনিট পর্যন্ত দাপট জারি রাখেন জামশেদপুরের ফুটবলাররা।

একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হয়েছিল, এই ম্যাচ জামশেদপুর সহজেই জিতে নেবে। কিন্তু কথায় আছে, এক গোল কখনও নিরাপদ নয়। এদিন যেন সেটাই প্রমাণিত হল। ইনজুরি টাইমে জোড়া গোল নর্থ ইস্টের। আর তাতেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা। এদিন প্রায় ১১ মিনিট ইনজুরি টাইম দেন রেফারি। অতিরিক্ত সময়ে নর্থ ইস্টের প্রথম গোলটি করেন মিচেল জাবাকো। ৯৪ মিনিটের মাথায় গোল করে দলের সমতা ফেরান তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই একটা আশার আলো দেখতে শুরু করে নর্থ ইস্ট। অন্যদিকে জামশেদপুর বেশ চাপে পড়ে যায়। জয়ের আনন্দে জল ঢেলে দেয় তারা।

প্রথম গোলের পর মরিয়া হয়ে ওঠে নর্থ ইস্ট। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ ৯৯ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি আদায় করে নেয় নর্থ ইস্ট। সেখান থেকে গোল করতে ভোলেননি মেলো। গোল করে দলকে জিতিয়ে দেন। এরপরই রেফারি ম্যাচে শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেন। স্বাভাবিক ভাবেই শেষ মুহূর্তের গোলে ম্যাচ জিতে নেয় নর্থ ইস্ট।

(Feed Source: hindustantimes.com)