ঢাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের সমাবেশে উত্তেজনা বেড়েছে, মোতায়েন আধাসামরিক বাহিনী

ঢাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের সমাবেশে উত্তেজনা বেড়েছে, মোতায়েন আধাসামরিক বাহিনী

প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিক্ষোভের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শনিবার বাংলাদেশে আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল বের করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এখানে বিশাল সমাবেশ করেছে বিএনপি। তিনি বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন জরুরি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ভাষ্যমতে, বিএনপি কর্মীরা কারক্রেলে পুলিশ পোস্টে অগ্নিসংযোগ করে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে পাথর ছুড়ে এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে। টিভিতে সম্প্রচারিত ফুটেজে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্মীদের বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে দেখা যায়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তিতে হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং তাদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং সেখানেও হামলা করা হয়েছে। এদিকে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তার নির্ধারিত সমাবেশ বানচাল করতে পুলিশের তৎপরতা এবং তাদের কর্মীদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে রোববার দেশব্যাপী হরতাল ডেকেছে, যা বহু বছরের মধ্যে প্রথম এ ধরনের বিক্ষোভ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলও তার হাজার হাজার সমর্থককে নিয়ে বেতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি সমাবেশ’ করেছে। একই সময়ে দলের নতুন প্লাটুন কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এই দুটি স্থানই ঢাকার প্রধান এলাকায়। এই দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঠেকাতে পুরানা পল্টন এলাকায় বাফার জোন তৈরি করেছিল দাঙ্গা দমন পুলিশ। এসব শ্রমিকের হাতে লাঠি ও পাথর ছিল। গতকাল রাতে উভয় দলই তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশ করার অনুমতি পেলেও তাদের ওপর বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। এসব শর্ত লঙ্ঘন করে উভয় পক্ষ বিক্ষোভ মিছিল করে রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ স্থানে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। সহিংসতার আশঙ্কায় অনেক দোকান ও শপিং কমপ্লেক্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দাবিত্যাগ: প্রভাসাক্ষী এই খবরটি সম্পাদনা করেননি। পিটিআই-ভাষা ফিড থেকে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।

(Feed Source: prabhasakshi.com)