জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হামাসের সঙ্গে সংঘাতে ইজরায়েলি হামলায় মাত্র তিন সপ্তাহে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা পেরিয়ে গেল ৩০০০! বলা হয়েছে, গত চার বছরে সংঘাতপ্রবণ আর কোনও অঞ্চলে এত মৃত্যু দেখেনি বিশ্ব!
জানা গিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েলি হামলায় গাজায় তিন সপ্তাহে অন্তত ৩৩২৪ শিশু প্রাণ হারিয়েছে, যা মোট প্রাণহানির ৪০ শতাংশ। এছাড়া ওয়েস্ট ব্যাংকে নিহত হয়েছে আরও ৩৬ জন। তাছাড়া প্যালেস্টাইনে তথা গাজায় এ পর্যন্ত ১০০০ শিশু নিখোঁজের খবর পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ইজরায়েলি হামলায় ধ্বংস হওয়া বাড়িগুলির নীচে চাপা পড়ে আছে তারা।
‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ জানিয়েছে, ২০২২ সালে সংঘাতে বিশ্বের ২৪টি দেশে অন্তত ২৯৮৫ শিশু নিহত হয়েছিল, ২০২১ সালে ২২টি দেশে প্রাণ হারিয়েছিল ২৫১৫ জন। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে– একটি শিশুর মৃত্যুই অনেক ক্ষতি, আর এখন তো শিশুহত্যার মহাকাব্য লেখা হচ্ছে! তারা মনে করে, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুদ্ধবিরতিই একমাত্র পথ।
৭ অক্টোবর ইজরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছিল হামাস। পাল্টা জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় টানা হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এই আক্রমণের ফলে গতকাল, রবিবার পর্যন্ত প্যালেস্টাইনে মারা গিয়েছেন ৮০০৫ জন, আহত ২০ হাজারেরও বেশি। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে পড়ে রয়েছে প্রায় হাজার দেহ! গাজার ওয়েস্ট ব্যাংকেও হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। সেখানেও নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শতাধিক! ওদিকে, হামাসের হামলায় ইজরায়েলে এখনও পর্যন্ত নিহত প্রায় ১৫০০ জন। এঁদের মধ্যে ৩৩১ জন সেনা।
যুদ্ধ-পরিস্তিতিতে মানবিক সাহায্য অবশ্য জারি রেখেছে রাষ্ট্রসংঘ। সম্প্রতি গাজায় ঢুকল ত্রাণবাহী আরও ৩৩টি ট্রাক। জল, খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে এই সব ট্রাক মিশর থেকে রাফা সীমান্ত দিয়ে অবরুদ্ধ প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে ঢোকে। এই নিয়ে সংঘাতের মধ্যেই গাজায় ঢোকা ত্রাণবাহী ট্রাকের সংখ্যা সব মিলিয়ে মোটামুটি দাঁড়াল শতাধিক! যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা কম।
এদিকে গাজা কিংবা ইজরায়েল– কোনও জায়গাতেই সেনা পাঠানোর কোনও পরিকল্পনা বা ইচ্ছা কোনোটাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেই! এমনই জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এক সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস বলেন, এ সময়ে গাজা কিংবা ইজরায়েল কোনও দেশেই সেনা পাঠানোর ইচ্ছা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেই। এ নিয়ে কোনও পরিকল্পনাও করা হচ্ছে না বলেই সরকারি ভাবে জানিয়ে দিল জো বাইডেনের দেশ। কমলা পরিষ্কার করে বলেন, এ সংঘাতে ইরানের জড়িয়ে পড়াটাও দেখতে চায় না তারা।
(Feed Source: zeenews.com)